Lakshmi Bhandar : ফেব্রুয়ারি মাসের ১ বা ২ অথবা ৩ তারিখে ঢুকবেনা লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা!

প্রতিমাসের ১ তারিখ থেকে লক্ষী ভান্ডার Lakshmi Bhandar প্রকল্পের টাকা দেওয়ার কাজ শুরু হলেও এবার ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ ২ তারিখ অথবা ৩ তারিখে ও লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে না! তিনটি কারণে মহিলাদের ব্যাংকে এই টাকা ঢুকতে দেরি হতে পারে।
প্রতিমাসে শুরুতেই রাজ্যের মহিলারা লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকার অপেক্ষায় থাকেন। কারণ লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা সংসারের খরচের পাশাপাশি অন্যান্য খরচেও কাজে লাগান মহিলারা। বর্তমানের এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে কিছুটা হলেও স্বস্তি যোগায় লক্ষী ভান্ডার প্রকল্প।
তবে জানা যাচ্ছে ফেব্রুয়ারি মাসে, লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা ১ তারিখ থেকে তিন তারিখ পর্যন্ত ঢোকার সম্ভাবনা নেই।

কেন ঢুকবে না প্রকল্পের টাকা?
- ১) মূলত জানুয়ারি মাস থেকেই শুরু ও দুয়ারে সরকার ক্যাম্প, যেটা ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ পর্যন্ত চলবে। ফলে আধিকারিকরা এমনিতেই ব্যস্ত থাকবেন তাছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ পরছে শনিবার ফলে সরকারি একাধিক দপ্তর বন্ধ থাকবে। তাই টাকা দেওয়ার কাজ বন্ধ থাকতে পারে।
- ২) ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখে রয়েছে রবিবার ফলে সরকারি ছুটির জন্য লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা এই দিনও মহিলাদের ব্যাংক একাউন্টে ছাড়া হবে না।
- ৩) সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি মাসের ৩ তারিখ পড়েছে সোমবার এই দিন আবার সরস্বতী পূজা ফলে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটা স্কুলে পুজোর অনুষ্ঠানের জন্য সরকারি দপ্তর সহ ব্যাংক ও বন্ধ থাকবে।ফলে এই দিনও লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা মহিলাদের ব্যাংক একাউন্টে পাঠানো সম্ভব হবে না।
কবে ঢুকবে প্রকল্পের টাকা?
তবে চিন্তার কোন কারণ নেই লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা ৩ তারিখ পর্যন্ত না দেওয়া হলেও 4 তারিখের পর থেকে টাকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চার তারিখ কিংবা পাঁচ তারিখের টাকা দেওয়া শুরু হলে আগামী দু চার দিনের মধ্যেই ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে। আশা করা যাচ্ছে দশ তারিখের মধ্যেই লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা সমস্ত মহিলাদের ব্যাংক একাউন্টে ঢুকে যাবে।
সাধারণ মহিলাদের ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি মহিলাদের ১২০০ টাকা দেওয়া হবে।
তবে উপরোক্ত দেওয়া তথ্যগুলো সম্পূর্ণ যে অফিশিয়ালি ভাবে মিলে যাবে এমনটা নয় কিছু ক্ষেত্রে সময় আরো কিছু হতে পারে।
কারা আবেদনের যোগ্য? Lakshmi Bhandar
লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করতে হলে আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। সঙ্গে অবশ্যই আবেদনকারী মহিলাকে ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে হতে হবে।
আবেদনকারী মহিলার নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।
আবেদনকারী মহিলা যে ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করবেন সেটা অবশ্যই সিঙ্গেল ব্যাংক একাউন্ট হতে হবে। জয়েন্ট ব্যাংক একাউন্টে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা ঢুকবে না।
লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পেতে হলে আবেদনকারীর ব্যাংক একাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ডের লিংক থাকতে হবে।

আবেদনকারী যদি তপশিলি জাতি কিংবা উপজাতির হন সেক্ষেত্রে কাস্ট সার্টিফিকেট শো করতে হবে।
লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর জেরক্স কফির প্রয়োজন হবে। এছাড়া আধার কার্ড সহ আরো কিছু তথ্য জমা করতে পারেন।
কোথায় আবেদন হবে? Lakshmi Bhandar
লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করতে চাইলে, আবেদনকারী মহিলাকে সরাসরি দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যোগাযোগ করতে হবে। এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকেই লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন করা যাবে। মনে রাখতে হবে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন পত্র এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকেই সংগ্রহ করতে হবে। বাইরে থেকে বা পুরনো কোন ফর্ম ফিলাপ করে জমা করলে সেটা রিজেক্ট বা বাতিল বলে গণ্য হতে পারে।
ইতিমধ্যেই অবশ্য শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার ২০২৫ সালের নতুন ক্যাম্প। পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় ব্লকে ব্লকে অঞ্চলে অঞ্চলে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। যেখান থেকে লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্প সহ মোট ৩৭ টি প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রকল্প রয়েছে যেমন কৃষক বন্ধু প্রকল্প যে প্রকল্পে বছরে ১০০০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন চার হাজার টাকা করে আর্থিক সুবিধা পাবেন কৃষকরা। সামাজিক সুরক্ষা যোজনা স্বাস্থ্য সাথী বিনামূল্যে চিকিৎসা থেকে শুরু করে একাধিক প্রকল্পের আবেদন এই দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প থেকেই করা যাবে।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী যারা এখনো পর্যন্ত লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করেননি সেই সমস্ত মহিলারা এই ক্যাম্প থেকে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করতে যদি কারো কোন সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে বল নাম্বারে ফোন করে সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
তাছাড়া আপনাদের এলাকায় কবে থেকে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প হবে তা সরাসরি দুয়ারে সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই চেক করা যেতে পারে।