লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে 3টি বড় সুখবর। ২০২৫ সালে বাড়তি টাকা!

পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী যে সমস্ত পরিবারগুলি রয়েছে, তাদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের মহিলারা বাংলার জনপ্রিয় প্রকল্প লক্ষী ভান্ডার এ নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। এই প্রকল্পে তাদের মাসে মাসে ১০০০ টাকা এবং ১২০০ টাকা করে হাত খরচ বাবদ দেওয়া হচ্ছে।

২০২১ সালে চালু হওয়া এই লক্ষীর ভান্ডার আজ গ্রাম বাংলার মহিলাদের সঙ্গে অতপ্রতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। প্রতি মাসেই গ্রাম এবং শহর উভয় ক্ষেত্রে মহিলারাই উৎসুক হয়ে থাকেন কখন লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে ব্যাংক একাউন্টে ঢুকবে!
আগে এই প্রকল্পে 500 এবং 1000 টাকা করে দেয়া হতো। তবে গত নির্বাচনের আগেই নতুন ঘোষণা অনুযায়ী এই প্রকল্পের টাকার পরিমান বাড়ানো হয়েছে। এখন সাধারণ মহিলাদের ১০০০ টাকা এবং এসসি এসটি ক্যাটাগরির মহিলাদের ১২০০ টাকা করে দেওয়া হয়।

খুশির খবর হলো এবার এই লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে আগের মত আর ১ কোটি ৮০ লক্ষ মহিলা নয় সেই পরিমাণটা বের হয়েছে প্রায় 2 কোটি 21 লক্ষ। অর্থাৎ গত ডিসেম্বরে এবং এই ২০২৫ সালের শুরুতেই নতুন করে ৫ লক্ষ মহিলারা পেতে শুরু করেছেন লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা।
লক্ষী ভান্ডারে নতুন কি খুশির খবর?
তবে এবার লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে 2025 সালে রয়েছে নতুন খুশির খবর।
১) ২০২৫ সালের সামনের নতুন মাসে যারা টাকা পাচ্ছেন না তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নতুন করে টাকা ঢুকতে শুরু হবে। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যে কয়েক লক্ষ মহিলার ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন কমপ্লিট হয়েছে ফলে তাদেরকে টাকা দিতে আর কোনো বাধা নেই। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই সমস্ত মহিলাদের ব্যাংক একাউন্টে আগামী মাসেই টাকা ঢুকবে।

২) এবার যে সমস্ত মহিলারা লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে এখনো পর্যন্ত আবেদন করতে পারেননি তাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ। ২০২৫ সালের এই জানুয়ারি থেকেই আবারো চালু হচ্ছে নতুন দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প যেটা চলবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, তাই যে সমস্ত মহিলারা এখনো পর্যন্ত লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করে এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেননি তাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ আপনারা এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে আবারো লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে নতুন করে আবেদন করতে পারবেন। এবং আপনি যদি তপশিলি জাতি বা উপজাতি হন তাহলে ১ হাজার ২০০ টাকা আপনার ব্যাংক একাউন্টের প্রতি মাসে আসবে।
৩) লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে আরও একটি বড় সুখবর, সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে এবার লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে টাকার পরিমাণ বাড়তে পারে। সাধারণ মহিলাদের ১০০০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি এবং উপজাতি পরিবারের মহিলাদের ২০০০ টাকা করে দেওয়া হতে পারে এই প্রকল্পে। তবে এই নিয়ে এখনো পর্যন্ত সরকারি কোন নোটিশ প্রকাশিত হয়নি, তবে একাধিক সংবাদমাধ্যম এবং গোপন সূত্রে জানা যাচ্ছে ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগেই এই ঘোষণা হওয়ার একটা বড় সম্ভাবনা রয়েছে।
লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে কারা আবেদন করতে পারবেন?

আপনারা যারা যারা এখনো পর্যন্ত লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেননি আপনার বাড়িতে যদি ২৫ বছরের উর্ধ্বে কোন মহিলা থেকে থাকে তাহলে আপনিও এই প্রকল্পে এক্ষুনি আবেদন করতে পারেন।
আবেদনের যোগ্যতা:
প্রকল্পে আবেদন করে এর সুবিধা নিতে হলে আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।
আবেদনকারীর বয়স ২৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে থাকতে হবে।
আবেদন কারীর একটি নিজস্ব সিঙ্গেল ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে। জয়েন্ট ব্যাংক একাউন্ট চলবে না।
সরকারি চাকরি করলে এই প্রকল্পে আবেদন করা যাবে না।
আবেদন করতে কি কি নথিপত্রের প্রয়োজন:

এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য বেশ কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে। আবেদনকারীকে একটি নির্দিষ্ট ফর্ম ফিলাপ করতে হবে যেটা দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকেই আপনারা সংগ্রহ করতে পারবেন। তাছাড়া কি কি কাগজপত্র লাগবে নিচে পয়েন্ট করে জানানো হলো:-
- ১) আধার কার্ডের স্বপ্রত্যায়িত ফটোকপি
- ২) স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের স্বপ্রত্যায়িত ফটোকপি
- ৩) তপশিলি জাতি বা উপজাতি সার্টিফিকেটের জেরক্স (থাকলে)
- ৪) নিজস্ব ব্যাংক পাস বইয়ের সামনের পাতার জেরক্স কপি। তাছাড়া ব্যাংকের আইএফএসসি কোড ব্যাংকের নাম অ্যাকাউন্ট নাম্বার যেন পরিষ্কার ভাবে বোঝা যায়।
- ৫) আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের রঙিন দু কপি ছবি লাগবে।
- ৬) তাছাড়া আবেদন পত্রের সঙ্গে একটি স্ব ঘোষণা পত্র জমা করতে হবে। যেখানে উল্লেখ থাকবে এই প্রকল্পে আবেদনে যে সমস্ত ডকুমেন্ট বা তথ্য দেওয়া হয়েছে সেগুলো সত্য।
এই ২০২৫ সালে প্রত্যেক মহিলাদের কাছে একটি সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। এখনো পর্যন্ত যদি আপনারা লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন না করে থাকেন। তাহলে অবিলম্বে এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারেন। এই প্রকল্পে আবেদন করলে সাধারণ মহিলাদের ১০০০ টাকা প্রতি মাসে, এবং তপশিলি জাতি কিংবা উপজাতি মহিলাদের প্রতিমাসে ১২০০ টাকা করে হাত খরচ বাবদ দেওয়া হবে।