আবার দেবে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা! জালিয়াতি রুখতে নয়া পদক্ষেপ নবান্নের 2025

বাংলার বাড়ি দ্বিতীয় কিস্তির টাকা

গরিব মানুষদের মাথার উপর ছাদ তুলে দেওয়ার জন্য, বাংলার বাড়ি প্রকল্প নিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রাজ্যের নিজস্ব তহবিল থেকেই চালু করা হয়েছে এই প্রকল্পটি।

বাংলা আবাস যোজনা। যার মাধ্যমে ইতিমধ্যে রাজ্যের প্রায় ১১ লক্ষ গরিব মানুষ যাদের আবাস যোজনা তালিকায় নাম ছিল, তাদেরকে বাড়ি বানানোর প্রথম থেকে ৬০ হাজার টাকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সঙ্গে আরো প্রায় এক লক্ষ উপভোক্তা যাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝড়ের কারণে কিংবা বন্যার কারণে ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে, তাদেরকেও বাংলা আবাস যোজনার মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে আবাস যোজনার বাড়ি তৈরীর টাকা।

তবে এবার এই আবাস যোজনার টাকা যাতে অযোগ্য ব্যক্তিদের হাতে না পৌঁছে যায়। সেই জন্য আবাস যোজনার টাকা দেওয়া নিয়ে চালু হয়েছে নতুন নির্দেশ।/

কবে দেবে প্রকল্পের টাকা?

20250111 214046
বাংলার বাড়ি প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকার খবর

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে চালু করা হলেও এখনো পর্যন্ত আবাস যোজনার টাকা পশ্চিমবঙ্গবাসীর ব্যাংকে দেওয়া হয়নি। তবে কেন্দ্রীয় সরকার না দিলেও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে, সম্পূর্ণ নিজেদের তহবিল থেকে বাড়ি বানাতে 1 লক্ষ 20 হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। যার মধ্যে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ইতিমধ্যেই উপভোক্তাদের ব্যাংক একাউন্টে পাঠানো শুরু হয়েছে।

তবে এবার এই টাকা পাঠানোতে আবারো নতুন নির্দেশ এসেছে। চলছে নতুন যাচাই প্রক্রিয়া। এবার নতুন নির্দেশ অনুযায়ী আবাস যোজনার টাকা দেওয়ার আগে আবারও যাচাই প্রক্রিয়া করা হবে। আর এই যাচাই প্রক্রিয়ার কারণেই একসঙ্গে সবার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।

তাই উপভোক্তাদের ব্যাংক একাউন্টে ধাপে ধাপে টাকা পাঠানো হচ্ছে। মোট ১১ লক্ষ উপভোক্তা নাম আবাস যোজনার তালিকা থেকে নেয়া হয়েছে, যারা প্রথম থেকে ৬০ হাজার টাকা পাচ্ছেন, এবং অতিরিক্ত এক লক্ষ উপভোক্ত তারা যারা প্রাকৃতিক কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন যাদের বাড়িঘর বন্যায় ভেঙে গেছে বা অন্য কারণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাদেরকেও বাংলা বাড়ি প্রকল্পের মাধ্যমে এই টাকা দেওয়া হবে।

তবে টাকা দেওয়ার আগে পুনরায় যাচাই প্রক্রিয়া চলছে, যদি কোন অযোগ্য ব্যক্তির ব্যাংক একাউন্টে এই টাকা পৌঁছে যায় সে ক্ষেত্রেও সেই টাকাকে ফেরত আনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আধিকারিকদের।

কাদের বাংলার বাড়ি টাকা বন্ধ হতে পারে!

20250111 214059

তাছাড়া যে সমস্ত উপভোক্তাদের নামে আবাস যোজনার ঘর এসেছে তাদেরকে টাকা দেওয়ার আগে বা ক্রস চেকিং এর আগে যদি কেউ আপত্তি করে বা যদি কোন গোলমাল ধরা পড়ে, সে ক্ষেত্রে সেই উপহার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ও টাকা দেওয়া বন্ধ করা হতে পারে।

গতবারে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তরফ থেকে যে টাকা দেওয়া শুরু হয়েছিল, সেখানে অযোগ্য ব্যক্তিদের টাকা দেওয়ার অনেক অভিযোগ উঠেছিল আর সেই জন্যই বন্ধ হয়েছিল আবাস যোজনার টাকা দেওয়া।

তবে রাজ্য সরকার এবার আর সেই ভুল করতে চাইছে না, সঠিক এবং উপযুক্ত উপভোগদাদেরকেই শুধুমাত্র আবাস তালিকায় রাখা হবে, এবং যোগ্য ব্যক্তিদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে প্রশাসনের সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে। এই ক্রস চেকিং এর জন্যই এখন সবার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এই মুহূর্তে টাকা পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না ফলে ধাপে ধাপে টাকা দিতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে।

যারা টাকা পেলেন না তারা কবে পাবেন!

জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যে নবান্নের তরফ থেকে যে টাকাগুলো পাঠানো হচ্ছে, প্রথমত সেই টাকা যাচ্ছে জেলা শাসকদের কাছে, পুনর্ যাচাইয়ের পর বিডিওরা মাস্টার রোল তৈরি করে জেলা পরিষদে পাঠাচ্ছেন। সেখানে তালিকা যদি অনুমোদন পায় তারপর সেই তালিকাগুলিকে পাঠানো হচ্ছে ট্রেজারিতে। এরপর সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা দেওয়া হচ্ছে।

অর্থাৎ ধাপে ধাপে টাকা দেওয়ার ফলে এখনো পর্যন্ত যে সমস্ত ব্যক্তিদের ব্যাঙ্কে কোন টাকা জমা পরলো না, আগামী কিছুদিনের মধ্যে তাদেরও ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলার বাড়ি দ্বিতীয় কিস্তির টাকা কবে দেবে?

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী বাংলা বাড়িতে যাদের নাম লিস্টে উঠেছে, তাদেরকে প্রথম কিস্তির 60 হাজার টাকা তাদের ব্যাংক একাউন্টে পাঠানো হয়েছে। যে সমস্ত উপভোক্তাদের ব্যাংক একাউন্টে এখনো পর্যন্ত এই টাকা ঢোকেনি, আগামী কিছুদিনের মধ্যে এই টাকা তাদেরও ব্যাংক একাউন্টে ঢুকে যাবে। যেহেতু ক্রস চেকিং করে তবেই ব্যাংক একাউন্টে টাকা দেওয়া হচ্ছে, তাই টাকা দিতে একটু দেরি হচ্ছে। ধাপে ধাপে টাকা দেওয়ার ফলে সবার ব্যাংক একাউন্টে একসঙ্গে টাকাও ঢুকছে না , এই মুহূর্তে যারা প্রথম কিস্তি ৬০ হাজার টাকা পেয়েছেন, মে মাসের মাঝামাঝি সময় আবারও দ্বিতীয় কিস্তির 60 হাজার টাকা তাদের ব্যাংক একাউন্টে দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *