আবাসের ঘর (Bangla Bari) বানাতে ন্যায্য মূল্যে ইট বালি সিমেন্ট পাথর দেওয়ার নির্দেশ রাজ্যের! 2nd কিস্তির টাকা কবে

ন্যায্য মূল্যের বালি সিমেন্ট

ইতিমধ্যেই ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির 60 হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এবার আবাসের ঘর(bangla Bari)বানাতে নেই সমূলে ইট বালি সিমেন্ট পাথর দেওয়ার নির্দেশ দিলো রাজ্য সরকার।

ঘর বানাতে রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে যে টাকা দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে সেই টাকা প্রচুর উপভোক্তা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পেয়ে গেছেন। যে টাকা নিয়ে তারা তাদের বাড়ি বানানোর আজও শুরু করে দিয়েছেন।

ন্যায্য মূল্যে ইমারতী দব্য দেওয়ার নির্দেশ

তবে এই চড়া দ্রব্যমূল্যের বাজারে যদি ইট বালি পাথর সিমেন্টের দাম লাগাম ছাড়া বেড়ে যায়, সে ক্ষেত্রে 1 লক্ষ 20 হাজার টাকায় বাড়ি বানানো প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়াতে পারে। ফলে যাতে ইমারত তৈরির দ্রব্যের দাম সাধারণ উপভোক্তাদের থেকে ন্যায্য মূল্যের থেকে বেশি না নেওয়া হয় সেই জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সঙ্গে আধিকারিকদেরও এই দিকটা নজর দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে এবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বাংলা বাড়ির কাজের অগ্রগতি কতদূর কিভাবে কাজ হচ্ছে সেটা তদারকি করার জন্য,জেলা এবং মহকুমা প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হলো রাজ্যের তরফ থেকে।

বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে আবাস যোজনার টাকা দেওয়া বন্ধ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। তবে ঘরের টাকা উপভোক্তাদের পুরোটাই দিচ্ছে রাজ্য সরকার রাজ্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে। প্রায় ২৮ লক্ষ এমন গরিব মানুষ রয়েছেন যাদের মাথার উপর ছাদ নেই কেউবা কাঁচা বাড়িতে বসবাস করেন আবার কেউবা টালির চাল। নতুন করে সার্ভে হওয়ার পর এই সমস্ত উপভোগতাদের মধ্যে থেকে ১২ লক্ষ উপভোগ তার ব্যাংক একাউন্টে ইতিমধ্যেই প্রথম কিস্তির 60000 টাকা পাঠানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।

তবে এই প্রথম দফায় ৬০ হাজার টাকায় বাড়ির কাজ কতটুকু করতে হবে বা কত দিনের মধ্যে করে ফেলতে হবে সেই বিষয়েও ইতিমধ্যে পূর্বাভাস জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফ থেকে।তাছাড়া বাড়ি বানানোর জন্য উপভোক্তারা যাতে ন্যায্য মূল্যে ইট বালি সিমেন্ট বা ইমারত তৈরির দব্য কিনতে পারে সেদিকে বিশেষ জোর দিতে বলা হয়েছে। যার নামে আবাস যোজনার ঘর পাস হয়েছে সেই ব্যক্তির যেখান থেকে ইচ্ছা সেখান থেকে ইট বালি সিমেন্ট পাথর যেন কিনতে পারে, এর জন্য ওই উপভোক্তাকে যেন কেউ কোন নির্দিষ্ট দোকান থেকে দ্রব্য সামগ্রী কেনার জন্য জোর না করে সেদিকেও লক্ষ্য দিতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনকে।

ঘর বানাতে বিশেষ সতর্কতা রাজ্যের:

যেহেতু আবাস যোজনার টাকা সম্পূর্ণটাই এ রাজ্য সরকার দিচ্ছে তাই এই রাজ্য সরকার কোনোভাবেই চায়না উপভোক্তাদের এই বাড়ি বানাতে কোনরকম সমস্যা দেখা দিক। নিচু স্তর থেকে শুরু করে মধ্যবর্তী পর্যন্ত সবাইকে করা নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে।

কতদিনের মধ্যে প্রথম ব্যবহার ঘরের কাজ শেষ করতে হবে?

এদিকে যারা আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির 60 হাজার টাকা পেয়েছেন। তাদেরকে মে মাসের মধ্যেই প্রথম দফার কাজ মিটিয়ে ফেলার জন্য জানানো হয়েছে। কারণ মে মাসের মধ্যে প্রথম ৬০ হাজার টাকার কাজ করে ফেললে পরবর্তীতে নতুন করে সার্ভে করা হতে পারে বাড়ি বাড়ি। যারা ঘর পেয়েছেন বা ঘরের টাকা পেয়েছেন তারা আদেও সেই টাকা ঘরের কাজে লাগাচ্ছে কিনা সেই দিকটা যাচাই করতে আসতে পারে সার্ভে দল। যদি আপনার বাড়ির কাজ হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আধিকারিকরা সেই ঘরের ছবি তুলে ওয়েব সাইটে আপলোড করবেন তারপর দ্বিতীয় কিস্তির অর্থাৎ পরবর্তী কিস্তিতে 60000 টাকা আবারও আপনার ব্যাংক একাউন্টে দেওয়া হবে রাজ্য তহবিল থেকে।

মে মাসের মধ্যে প্রথম দফার কাজ শেষ করে দিলে জুন মাসে দ্বিতীয় কিস্তির টাকাটা দেওয়া হবে এমনই ঘোষণা রয়েছে। এছাড়াও আবাস যোজনার পার্মানেন্ট ওয়েটিং লিস্টে যে ১৬ লক্ষ উপভোক্তার নাম রয়েছে তাদেরকে ২০২৬ সালের আগেই ডিসেম্বর মাসে প্রথম কিস্তির 60 হাজার টাকা দেওয়ার কাজ শুরু করা হবে।

ফলে রাজ্যে বসবাসকারী গরিব খেটে খাওয়া যে সমস্ত মানুষরা রয়েছেন, যাদের সত্যিই আবাস যোজনার ঘরের প্রয়োজন, তাদের মধ্য থেকে মোট প্রায় ২৮ লক্ষ গরিব খেটে খাওয়া মানুষরা বাংলা আবাস যোজনা মাধ্যমে পাকা বাড়ির সুবিধা পাবেন। তবে শুধু যে ২৮ লক্ষ উপভোক্তা পরবর্তী কিস্তির টাকা পাবেন এমনটা নয়! নতুন করেও যে সমস্ত উপভোগ তারা আবাস যোজনার বাড়ি পাওয়ার জন্য নাম লেখাবেন, কিংবা যাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পরবর্তীতে ও ক্ষতি হবে তাদেরকেও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আবাস যোজনার মাধ্যমে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বাড়ি দিয়ে সাহায্য করা হতে পারে।

কিভাবে নতুন করে ঘরের লিস্টে নাম তোলা যাবে?

আবাস যোজনার নতুন ঘরের লিস্টে যদি আপনারও নাম তুলতে চান সে ক্ষেত্রে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে বল ফোন নাম্বারে ফোন করে আপনাদেরকে জানাতে হবে যে আপনার আবাস যোজনার ঘরের প্রয়োজন। এবং এই মুহূর্তে আপনার আর্থিক পরিস্থিতি কি রয়েছে। আপনার মাটির বাড়ি বা কাঁচা বাড়ি সেটাও আপনাকে সমস্ত তথ্য সহ জানাতে হবে। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে বল নাম্বারে ফোন করলে আপনার নামটি নথিভুক্ত করা হবে। পরবর্তীতে আধিকারিকরা বিবেচনা করে আপনার নামটিও আবাস যোজনা লিস্টে তুলতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *