বাংলার বাড়ি দ্বিতীয় কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দেওয়া শুরু। bangla bari 2nd installment released

bangla bari 2nd installment released আবাস যোজনা

শুরু হয়ে গেল বাংলা আবাস যোজনা দ্বিতীয় কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দেওয়ার কাজ। ( bangla bari 2nd installment released ) এতদিন পর্যন্ত যারা প্রথম কিস্তির 60,000 টাকা পেয়েছিলেন তারা অপেক্ষা করছিলেন বাড়ি বানানোর দ্বিতীয় কিস্তি ৬০ হাজার টাকা পাবে তাদের ব্যাংক একাউন্টে ঢুকবে?

অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান হলো, শুরু হলো আবাস যোজনার দ্বিতীয় কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দেওয়া কাজ। এর আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে বাড়ি বানানোর জন্য দেওয়া হতো ১২০,০০০ টাকা সরাসরি উপভোক্তার ব্যাংক একাউন্টে।

জুন মাসে লক্ষী ভান্ডারের টাকা কবে ঢুকবে? নতুনদের জন্য কি সুখবর?

যার মধ্যে ৬০ শতাংশ দিত কেন্দ্রীয় সরকার এবং ৪০ শতাংশ দিত রাজ্য সরকার ।তবে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বন্ধ করা হয়েছে বাংলা আবাস যোজনার টাকা দেওয়া।

ফলে এখন রাজ্যের নিজস্ব কোষাগার থেকেই সেই টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।আর ফলস্বরূপ গত ডিসেম্বর ২০২৪ থেকেই শুরু হয় প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দেওয়া।

মোট ২৮ লক্ষ উপভোক্তার নাম লিস্টে তোলা হলেও প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয় 12 লক্ষ উপভোক্তার ব্যাংক একাউন্টে।এই ১২ লক্ষ উপভোগ তারা যারা আবাস যোজনা টাকা পেয়েছেন তাদের মধ্যে থেকে প্রায় ৮ লক্ষ উপভোক্তারা প্রথম কিস্তির টাকা দিয়ে লিলটন পর্যন্ত বাড়ির কাজ করেছে।

শুধু মহিলারা পাবে এই আটটি প্রকল্পে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।

তাদেরকে দ্বিতীয় কিস্তির ষাট হাজার টাকা দেওয়ার কাজ শুরু করলো নবান্ন।গত ২০ মে ২০২৫ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ারের জনসভা থেকে আবাস যোজনার দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ছাড়ার শুভ সূচনা করেন।

এই জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবাস যোজনার পাশাপাশি আরো একাধিক প্রকল্পে অসুবিধা প্রদান করেন।

বেশ কিছু উপভোক্তাকে সরাসরি লক্ষী ভান্ডার কৃষক বন্ধু বৃদ্ধ বিবাহ ভাতা সহ আরো একাধিক প্রকল্পের সুবিধা প্রদান করেন।পাশাপাশি বাংলা আবাস যোজনা ১২ লক্ষ্য উপভোগ থাকে দ্বিতীয় পেজ থেকে ৬০ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা করা হয় এই মঞ্চ থেকেই।

bangla bari 2nd installment released আবাস যোজনা
bangla bari 2nd installment released আবাস যোজনা

কবে ঢুকবে বাংলা আবাস যোজনা টাকা?bangla bari 2nd installment released

আবাস যোজনা টাকা দেওয়ার সাথে সাথেই কিন্তু সবার ব্যাংক একাউন্টে এই টাকা ঢোকে না। জনসভা থেকে টাকা ছাড়া শুরু হলেও এই টাকা পেতে আরো এক দুদিন সময় লাগতে পারে সাধারণ মানুষের ।

কারণ একসঙ্গে ১২ লক্ষ উপভোক্তার ব্যাংক একাউন্টে টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই ধাপে ধাপে চলে টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া।তাই যারা এখনো পর্যন্ত বাংলা আবাস যোজনার টাকা পাননি তারা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দ্বিতীয় কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পেয়ে যাবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।

আবাস যোজনা কিভাবে নাম তুলবেন?

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা শহরের ক্ষেত্রে অনলাইনে এই প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত করা গেলেও গ্রামীণ ক্ষেত্রে নাম তোলার কোন অনলাইন প্রক্রিয়া নেই বললেই চলে । তবে দুটি উপায়ে আপনি চাইলে আবাস যোজনার লিস্টে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন।

  • প্রথমত আপনি যদি আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার যোগ্য হন সেক্ষেত্রে আপনি সরাসরি ব্লক অফিসে চিঠির মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন।
  • দ্বিতীয়তঃ আপনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে বল ফোন নাম্বারে ফোন করে এই প্রকল্পে নিজের নাম নথিভুক্তকরণের জন্য আবেদন করতে পারেন।

বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি বানানোর জন্য মোট ১২০,০০০ হাজার টাকার সহযোগিতা করা হয় সাধারণ মানুষকে। গরিব এবং গৃহহীন মানুষদের মাথার উপর ছাদের ব্যবস্থা করা এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।

ইতিমধ্যে প্রচুর মানুষ এমন রয়েছেন যারা এখনো পর্যন্ত বাড়ি পাওয়ার যোগ্য কিন্তু কোন কারণবশত তারা বাংলা বাড়ি বা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার লিস্টে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারেননি। তাই তারা যদি বাংলা বাড়ির এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা পেতে চান। কিংবা এই টাকা দিয়ে নিজের স্বপ্নের বাড়ি তৈরি করতে চান। তাহলে আপনারাও এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারেন।

তবে মাথায় রাখতে হবে এই প্রকল্পে আবেদন করতে হলে আবেদনকারীকে অবশ্যই বিপিএল ক্যাটাগরির হতে হবে।

আবেদনকারী কোন সরকারি চাকরি করলে আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।

যে সমস্ত মানুষজন ইনকাম ট্যাক্স দিয়ে থাকেন তারাও এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।

যাদের আগে থেকে ছাদ দেওয়া পাকা বাড়ি রয়েছে তারাও এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন না।

এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করবেন। একসঙ্গে নিচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ফেসবুক পেজকে ফলো করতে পারবেন।

WhatsApp ChannelClick Here
Facebook PageClick Here

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *