1 টি কাগজ থাকলেই হবে ভোটার ভেরিফিকেশন। কাদের কি কি লাগবে?

এবার আগস্ট মাসের শুরু থেকেই বাংলায় চালু হতে পারে ভোটার ভেরিফিকেশন, তবে এই ভোটার ভেরিফিকেশন নিয়ে প্রচুর মানুষ নানান চিন্তার সম্মুখীন হচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গে কবে ভোটার ভেরিফিকেশন বা এসআইআর অর্থাৎ স্পেশাল এনটেনসিভ রিভিশন চালু হবে? বাংলায় ভোটার ভেরিফিকেশন হলে কি কি কাগজপত্র লাগবে? কাদের কাছে শুধু ১টি মাত্র ডকুমেন্ট থাকলেই ভোটার ভেরিফিকেশন হয়ে যাবে?
নির্বাচন কমিশন চালু করছে ভোটার ভেরিফিকেশন?
ইতিমধ্যেই বিহারে শুরু হয়েছে ভোটার কার্ডের নিবিড় সমীক্ষা, যেটাকে বলা হচ্ছে SIR বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন যাচাই করবে কারা প্রকৃত ভারতবাসী, বা কারা প্রকৃত ভোট দেওয়ার যোগ্য ব্যক্তি। সেই জন্যই আগস্ট মাস থেকেই রাজ্যজুড়ে চালু হতে পারে, এই ভোটার ভেরিফিকেশন যেটা নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে চালু করা হতে পারে।
ইতিমধ্যেই জানা যাচ্ছে বিহারে প্রায় ৫৬ লক্ষ মানুষের নাম এই ভোটার তালিকা থেকে বাদ যেতে পারে। ফলে পশ্চিমবঙ্গেও ভোটার ভেরিফিকেশন শুরু হলে, বহু মানুষের নাম তালিকা থেকে বাদ হতে পারে। তাই প্রত্যেককেই এই ভোটার ভেরিফিকেশন সম্বন্ধে বিস্তারিত জানা উচিত।
ভোটার ভেরিফিকেশনে কত সালে জন্ম হলে কি কি কাগজ লাগবে?
এর আগে বিহারে যে ভোটার ভেরিফিকেশনের গাইডলাইন দেওয়া হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে, সেই অনুযায়ী ভোটার ভেরিফিকেশন নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উঠে আসছে। তবে আগে থেকে জানিয়ে রাখা ভালো পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত নোটিশ বা গাইডলাইন প্রকাশিত হয়নি হলে সেটাও প্রতিবেদনে জানানো হবে। তবে যেহেতু এই গাইডলাইন নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে দেয়া হয়েছে এবং পশ্চিমবঙ্গে ভোটার ভেরিফিকেশন হলে সেটাও নির্বাচন কমিশন করবে তাই আবেদনের পদ্ধতি বা ডকুমেন্টের লিস্ট প্রায় একই রকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
নতুন প্রকল্পের টাকা দেওয়ার ঘোষণা হল
এই মুহূর্তে বিহারের গাইডলাইন অনুযায়ী কি কি জানানো হয়েছে সমস্তটাই নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো…
প্রথমেই এই গাইড লাইনে আবেদন পত্রের পদ্ধতি বা বিবরণ দেখানোর পর ডিক্লিয়ারেশন বা ঘোষণাপত্র সম্বন্ধে জানানো হয়েছে। মূলত যাদের ১৮ বছর বয়স হয়ে গেছে বা যারা ভোট দেওয়ার যোগ্য যাদের কাছে ভোটার কার্ড আছে তাদের জন্যই এই গাইড লাইন, কি বলা হয়েছে?
গাইড লাইনে কি কি বলা হয়েছে?
🛑যদি কোন ব্যক্তি 1.7.1987 সালের আগে জন্মগ্রহণ করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন এর জন্য কি কি কাগজপত্র দিতে হবে, প্রথমত মনে রাখবেন পশ্চিমবঙ্গে যদি ভোটার ভেরিফিকেশন চালু হয় সেটাতে প্রত্যেককেই ফরম ফিলাপ করতে হবে।, এবার আপনার যদি 1987 সালের আগে জন্ম হয় সেক্ষেত্রে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন এর জন্য শুধুমাত্র নিজের কাগজপত্র বা নথিপত্র দিলেই হবে। এক্ষেত্রে আপনার জন্মের তারিখ কিংবা জন্মস্থান লেখা রয়েছে এমন কোন সার্টিফিকেট প্রদান করলেই এই ভোটার ভেরিফিকেশনটা করতে পারবেন।
🛑 যদি কারো জন্ম 1.7.1987 থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে হয়, সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির নিজের ডকুমেন্ট দিতে হবে সঙ্গে বাবা অথবা মা যে কোন একজনের ডকুমেন্ট জমা করতে হবে। এক্ষেত্রেও ডকুমেন্টে বলা হয়েছে জন্মতারিখ অথবা জন্মস্থান উল্লেখ রয়েছে এমন যেকোনো ডকুমেন্ট প্রদান করতে পারবেন।
🛑 তাছাড়া যাদের জন্ম 2004 সালের পরে, তাদের ক্ষেত্রে নিজের ডকুমেন্ট সঙ্গে বাবার ডকুমেন্ট এবং মায়ের ডকুমেন্ট উভয়ের ডকুমেন্ট দিতে হবে। এক্ষেত্রে যে ডকুমেন্ট গুলো দেবেন সেখানে জন্মতারিখ অথবা জন্মস্থান উল্লেখ রয়েছে এমন যেকোন ডকুমেন্ট প্রদান করতে হবে।
🛑 যদি কোন বাবা মা ভারতীয় না হয় সেক্ষেত্রে সন্তান জন্মের সময় তাদের যে বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসা ছিল সেটাই প্রমাণ পত্র হিসেবে দেখাতে হবে।

কোন কোন ১১ টি ডকুমেন্ট দেখালেই ভেরিফিকেশন হবে?
ভোটার ভেরিফিকেশনের জন্য মোট ১১ টি ডকুমেন্টের কথা বলা হয়েছে
1) যেকোনো আইডেন্টিটি কার্ড/যদি আপনি রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে কোন পেনশন পান তাহলে সেই সমস্ত ডকুমেন্ট আপনারা দিতে পারেন। এছাড়াও যদি আপনি পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিং এ কাজ করে থাকেন তারা যদি কোন নথি থাকে সেগুলো দিতে পারেন।
2) যেকোনো আইডেন্টিটি কার্ড কিংবা সার্টিফিকেট অথবা এমন কোন ডকুমেন্ট যেটা ভারত সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে অথবা লোকাল অথরিটি থেকে কোন শংসাপত্র পেয়েছেন তাছাড়াও যদি আপনাদের কাছে ব্যাংক পোস্ট অফিস কিংবা এল আই সির মত নথি থাকে কিংবা পাবলিক সেক্টর আন্ডার টেকিং এ কাজ করে থাকেন সেই সমস্ত নথি ও দেখাতে পারেন। তবে এই সমস্ত নথির ক্ষেত্রে আপনার জন্য 1.7.1987আগে হতে হবে।
3) আপনার যদি জন্মসংসাপত্র বা বার্থ সার্টিফিকেট থেকে থাকে সেটাও আপনি দেখিয়ে ভোটার ভেরিফিকেশন করতে পারবেন।
4) যে সমস্ত নাগরিকদের কাছে পাসপোর্ট রয়েছে তারা এই পাসপোর্ট দেখিয়ে ভোটার ভেরিফিকেশন করতে পারবেন।
5) আপনার কাছে যদি কোন স্বীকৃত ভোট বা ইউনিভার্সিটি থেকে মাধ্যমিক বা উচ্চশিক্ষিত কোন শংসাপত্র বা সার্টিফিকেট থেকে থাকে সেগুলো আপনারা দেখাতে পারবেন এবং ভেরিফিকেশন করতে পারবেন।
6) কোন সরকারি দপ্তর থেকে যদি পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট বা বসবাসকারী সংসদ পত্র থাকে সেটাও দেখাতে পারেন।
7) বন আধিকারিক এর সার্টিফিকেট থাকলেও চলবে।।
8) আপনার কাছে যদি এসসি এসটি ওবিসি সার্টিফিকেট থাকে সেটাও আপনারা দেখিয়ে ভোটার ভেরিফিকেশন করতে পারবেন।
9) ন্যাশনাল রেজিস্টার সার্টিফিকেট বা সিটিজেনশিপ কার্ড যদি আপনাদের কাছে থাকে সেটা দেখিও আপনারা ভোটার ভেরিফিকেশন করতে পারবেন।
10) যাদের কাছে ফ্যামিলি রেজিস্টার সার্টিফিকেট রয়েছে যেটা কোন রাজ্য বা লোকাল অথরিটি থেকে পেয়েছেন সেটাও দেখাতে পারবেন।
11) যেকোনো জমির তথ্য কিংবা সরকারের তরফ থেকে বাড়ি পেয়েছেন এমন কোন তথ্য বা ডকুমেন্ট থাকে সেগুলো আপনারা দেখিয়ে ভোটার ভেরিফিকেশন করতে পারবেন।
মনে রাখতে হবে উপরোক্ত যে ডকুমেন্টগুলো আপনারা দেবেন প্রত্যেকটার ক্ষেত্রে সেলফ অ্যাটেস্টেড জেরক্স কপি লাগবে, অর্থাৎ যে কাগজগুলো দেবেন তাতে নিজেরা সই করে দেবেন।
কোন ১টি কাগজ থাকলে অন্য রকমের লাগবেনা?
এর আগে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে যে গাড়ির লাইন প্রকাশিত হয়েছিল সেখানে জানানো হয়েছিল বিহারের ক্ষেত্রে ২০০৩ সালে লাস্ট ভোটার ভেরিফিকেশন হয়েছিল। ওই ভোটার ভেরিফিকেশনে যারা যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং যাদের নাম ভোটার তালিকায় ছিল তাদের ক্ষেত্রে ওই ভোটার তালিকা কেই পর্যাপ্ত ডকুমেন্ট হিসেবে ধরে নেয়া হবে। ফলে পশ্চিমবঙ্গে লাস্ট ২০০২ সালে ভোটার ভেরিফিকেশন হয়েছিল তাই এই 2002 সালের ভোটার লিস্টে যাদের নাম রয়েছে, তারাও এই ভোটার লিস্টের ডকুমেন্টটি ভোটার ভেরিফিকেশনের সময় দেখাতে পারবেন। এক্ষেত্রে অন্য কোন ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন পড়বে না।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি: তবে মনে রাখতে হবে এখনো পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের জন্য নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে কোন গাইডলাইন প্রকাশিত হয় না, বা অফিশিয়াল নোটিস কিংবা ফ্রম দেয়া হয়নি, যদি আগস্ট মাসের পশ্চিমবঙ্গে ভোটার ভেরিফিকেশন শুরু হয় সেক্ষেত্রে নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে সেটাও আমাদের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন।
WhatsApp Channel | Click Here |
Facebook Page | Click Here |