এই 4টি ডকুমেন্ট আছে তো? ভোটার ভেরিফিকেশন এ কাজে আসবে, West bengal voter verification

পশ্চিমবঙ্গে চালু হচ্ছে ভোটার ভেরিফিকেশন, এই 4টি ডকুমেন্ট থাকলে আপনারা ভোটার ভেরিফিকেশনে অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন। এই মুহূর্তে বিহারে বিধানসভা ভোটের আগেই রাজ্য জুড়ে চালু হয়েছে ভোটার ভেরিফিকেশন। নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই নিয়ে ফর্ম ও প্রকাশিত করা হয়েছে। নিয়ম অনুসারে অফলাইনে ফরম ফিলাপ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সহ জমা দিতে হবে। জানা যাচ্ছে এছাড়াও নির্বাচন আধিকারিকরা সাধারণ মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন বা ভোটার ভেরিফিকেশন করছেন।
এই ভুলের জন্যই নতুন মহিলারা লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পাচ্ছে না
ভোটার ভেরিফিকেশন:
ঠিক একইভাবে এবার পশ্চিমবঙ্গেও হবে ভোটার ভেরিফিকেশন। জানা যাচ্ছে বিহারে ভোটার ভেরিফিকেশন চালু হওয়ার পর নেপাল বাংলাদেশ মায়ানমারের মত দেশ থেকে, বিনা অনুমতিতে আসা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা যারা ভারতবর্ষে বসবাস করছেন তাদের নাম সামনে উঠে আসছে। এবার এই সমস্ত মানুষের নাম ভোটার তালিকার লিস্ট থেকে বাতিল করা হতে পারে। সঙ্গে যে সমস্ত বিদেশি অনুপ্রবেশকারীরা দালাল চকের হাত ধরে ভারতবর্ষে প্রবেশ করে এখানে বসবাস করছেন। তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হতে পারে।
আধার কার্ড কি নাগরিকত্বের প্রমাণ?
বর্তমানে চলমান ভোটার ভেরিফিকেশন এর সময় বিহারে বেশ কিছু নাগরিক নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে আধার কার্ড কে দেখাচ্ছেন। তবে জানিয়ে রাখা ভালো ইউআইডিএআই এর তরফ থেকে অর্থাৎ আধার কর্তৃপক্ষ পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে আধার কার্ড কিন্তু নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র বা নথি নয়। আধার কার্ড কে আপনি পরিচয় হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন, কিন্তু কোনভাবেই আধার কার্ড কে নাগরিকত্বের শংসাপত্র হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না।
এদিকে গত 10 জুলাই বিহারের এই ভোটার ভেরিফিকেশন অর্থাৎ স্পেশাল ইনটেনশিপ রিভিশন বা SIR এ চ্যালেঞ্জ করে বেশ কিছু আবেদনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছেন ভারতের নাগরিকত্বের প্রমাণপত্রের জন্য ভোটার আইডি কার্ড আধার কার্ড কিংবা রেশন কার্ডকে যাতে প্রামাণ্য নথি হিসেবে দেওয়া যায় সেই দিকটা বিচার করে দেখার আহ্বান জানিয়েছে বিচারপতিগণ। তবে জানিয়ে রাখা ভালো আপনার কাছে যদি নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ চারটি ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র থাকে তাহলে ভারতের নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে আপনার অনেকটাই সুবিধা হবে!

কোন কোন 4টি ডকুমেন্টের কথা বলা হয়েছে?
বর্তমানে ভারতবর্ষে বসবাসকারী যে সমস্ত নাগরিকরা রয়েছেন তাদের কাছে কোনো না কোনো পরিচয় পত্র রয়েছে, তবে এর মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রমাণপত্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যার মধ্যে এই চারটি ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র অন্যতম।:-
ভারতীয় পাসপোর্ট:-
আপনার কাছে যদি একটা ভারতীয় পাসপোর্ট থাকে তাহলে আপনি এই পাসপোর্ট দেখিয়ে সহজেই ভারতের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারবেন। কারণ ভারতীয় পাসপোর্ট বিদেশ মন্ত্রক দ্বারা জারি করা হয়। এছাড়া ভারত সরকারের এই পাসপোর্টে উল্লেখ থাকে যে আপনি একজন ভারতীয় নাগরিক। তাই আপনার কাছে যদি পাসপোর্ট থাকে তাহলে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে আপনার অনেকটাই সুবিধা হবে।
২)ভারতীয় সিটিজেনশিপ শংসাপত্র বা রেজিস্ট্রেশন শংসাপত্র:
বর্তমানে প্রচুর এমন ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন যারা আসলে প্রকৃত বা জন্মসূত্রে ভারতীয় নয়। বিদেশ থেকে ভারতে এসে নাগরিকত্ব নিয়ে ভারতে বসবাস করছেন। ভারত সরকার যদি এই সমস্ত নাগরিক হয়ে যাবে নাগরিকত্ব দেয় সে ক্ষেত্রে সরকারের তরফ থেকে তাদেরকে নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট বা রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট অর্থাৎ এক কথায় বলা যেতে পারে সিটিজেনশিপ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। এই সার্টিফিকেট থাকলেও আপনি সহজেই ভারতের নাগরিক সেটা প্রমাণ করতে পারবেন।
৩)বার্থ সার্টিফিকেট বা জন্ম শংসাপত্র:
আপনি যদি ভারতীয় নাগরিক হন এবং আপনার কাছে যদি জন্মের শংসাপত্র থাকে। তাহলে এই জন্মের সমস্যা তথ্য দেখেও আপনি নাগরিকত্বের প্রমাণ করতে পারবেন। নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে জন্মসাপত্র আপনাকে অনেকটাই সাহায্য করতে পারে। তবে জন্মসাপত্রের সঙ্গে কিছু সাপোর্টিং ডকুমেন্ট বা বাবা-মায়ের কিছু সাপোর্টিং ডকুমেন্ট জমা করতে হতে পারে।
জাতীয় শংসাপত্র:
জাতীয় শংসাপত্র মাঝেমধ্যেই রাজ্য সরকার দ্বারা জারি করা হয়ে থাকে কিংবা উচ্চ জেলা দপ্তরের তরফ থেকেও এই সার্টিফিকেট জারি করা হতে পারে। তবে এই জাতীয় শংসাপত্র কিন্তু সব সময় পাওয়া যায় না বিশেষ কিছু জরুরী পরিস্থিতিতেই শুধুমাত্র এই জাতীয় শংসাপত্র জারি করা হয়ে থাকে।
অন্যান্য সার্টিফিকেট:
৫) এছাড়াও জানিয়ে রাখা ভালো যে সমস্ত ভারতীয় নাগরিকরা ভারতে বসবাস করছেন। তারা সরকার প্রদত্ত পেনশন কার্ড স্কুলের সার্টিফিকেট সহ অন্যান্য সরকারি দপ্তরে দেওয়া সার্টিফিকেট ও জমা করতে পারেন এই ভোটার ভেরিফিকেশনের জন্য। জানা যাচ্ছে ২০০৩ সালে পরে জন্মগ্রহণ হওয়ার পরে যে সমস্ত ভোটার কার্ড গুলি তৈরি হয়েছে সেই সমস্ত ভোটার কার্ডগুলিকে বিশেষ করে নজরে রাখা হচ্ছে। এবং এই সমস্ত ভোটার কার্ড গুলি চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখানোর প্রয়োজন পড়তে পারে।
জানা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হয়ে যাবে ভোটার ভেরিফিকেশন তবে এই ভোটার ভেরিফিকেশন করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কিছু নতুন ডকুমেন্টও যোগ হতে পারে। আগামী আগস্ট মাসের ১ তারিখ থেকে এই ভোটার ভেরিফিকেশন পশ্চিমবঙ্গের শুরু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।। তাছাড়া আগস্ট মাসের মধ্যে যদি কমপ্লিট না হয়ে ওঠে তাহলে আরো কয়েক মাস সময় বাড়ানো হতে পারে।
এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ দেখতে আমাদের ওয়েবসাইটিকে সাবস্ক্রাইব করুন। আমাদের অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টগুলি ফলো করতে ভুলবেন না।
WhatsApp channel | Click Here |
Facebook page | Click Here |