লক্ষী ভান্ডার ও কৃষক বন্ধু কোন প্রকল্পে কবে টাকা ঢুকবে? কোন প্রকল্পে বেশি টাকা?

বাংলার মহিলাদের মুখে হাসি ফোটাতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চালু করা হয়েছিল লক্ষীর ভান্ডার। কবে এই জুন মাসেই লক্ষী ভান্ডার ও কৃষক বন্ধু কোন প্রকল্পে কবে টাকা ঢুকবে? দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মাধ্যমে, লক্ষ লক্ষ মহিলারা এই প্রকল্পে আবেদন করেন।

আবেদন করার কিছুদিনের মধ্যেই এই প্রকল্পের পরিষেবা প্রদান শুরু হয়। ২০২১ সালে নির্বাচনের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতিতেই বাজিমাত করেছিল এই লক্ষী ভান্ডার প্রকল্প, এছাড়াও এই জুন মাসে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের নতুন মহিলাদের জন্য রয়েছে দারুণ সুখবর।

শুরুতে এই প্রকল্পে ৫০০ এবং ১০০০ টাকা দেওয়া হলেও পরবর্তীতে সেই টাকার পরিমাণ বেড়ে হয় এস সি, এস টি দের জন্য ১২০০ টাকা এবং সাধারণদের জন্য ১০০০ টাকা করে।

Pmkisan 20 installment date! কিষান সম্মান নিধি যোজনার টাকা কবে দেবে?

আর এখন এই প্রকল্পটাই বেশ কিছু গরিব খেটে খাওয়া মহিলাদের কাছে একটি অন্যতম আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম বাংলার প্রচুর এমন মহিলা রয়েছেন যারা লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের অপেক্ষায় থাকেন কারণ এই টাকা ঢুকলে বাচ্চাদের পড়াশোনা নিজের হাত খরচ কিংবা সংসারের কাজে খরচ করেন তারা।

শুধু লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পই নয় লক্ষ্মী ভান্ডারের পাশাপাশি চাষী ভাইদের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তৈরি করেছেন কৃষক বন্ধু প্রকল্প। যে সমস্ত কৃষকদের নিজেদের নামে চাষের জমি রয়েছে।

বা যারা চাষবাসের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাদেরকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে বছরে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা দুটি সমান কিস্তিতে দেওয়া হয়ে থাকে। যার একটি কিস্তি হঠাৎ করে মরসুমের টাকা আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই চাষী ভাইদের ব্যাংকে আসতে চলেছে।

তবে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা কিংবা কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা। কবে ব্যাংক একাউন্টে আসতে পারে? কোন কোন কাজ করে রাখলে টাকা ব্যাঙ্কে ঢুকবে? কোন প্রকল্পে বেশি টাকা পাওয়া যাবে? সমস্ত কিছুই এমনি আলোচনা করা হলো…

কোন প্রকল্পে কত টাকা?

লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে যারা তপশিলি জাতি এবং উপজাতি শ্রেণীর মহিলারা রয়েছেন তাদের ব্যাংকে ১২০০ টাকা করে প্রতি মাসে দেওয়া হয়। এবং যারা জেনারেল রয়েছেন সেই সমস্ত মহিলাদের ব্যাংকে ১০০০ টাকা করে প্রতি মাসে দেওয়া হয়।

জুন মাসে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা কবে ঢুকবে ব্যাংকে?

এদিকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে যাদের ১ একর বা তার থেকে বেশি জমি রয়েছে তাদের বছরের সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। দুটি সমান কিস্তিতে, এবং যাদের এক একরের নিচে জমি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে জমির পরিমাণ হিসাবে সর্বনিম্ন ৪০০০ টাকা বছরে দুটি কিস্তিতে দেওয়া হয়।

অর্থাৎ যদি হিসাব করা যায় সেক্ষেত্রে দেখা যায় কৃষক বন্ধু প্রকল্পের থেকে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে বাৎসরিক টাকার পরিমান কিছুটা হলেও বেশি পান মহিলারা, কারণ যদি ১০০০ টাকার হিসাবে ১২ মাসে ১২০০০ টাকা পান মহিলারা।

লক্ষী ভান্ডার ও কৃষক বন্ধুর টাকা কবে ঢুকবে?

লক্ষী ভান্ডার প্রকল্প প্রতিমাসের ১ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে টাকা দেয়ার কাজ শুরু হলেও জুন মাসের ১ তারিখে টাকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে না, তাহলে কবে টাকা ঢুকবে?

যেহেতু জুন মাসের ১ তারিখে রবিবার এবং জামাইষষ্ঠী রয়েছে তাই এই দিন সরকারি ছুটি, এই দিন টাকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে না, তবে জুন মাসে 2 তারিখ থেকে পাঁচ তারিখের মধ্যে লক্ষী ভান্ডারে টাকা দেওয়ার কাজ শুরু হতে পারে।

এই সময় মহিলাদের স্ট্যাটাসে ও পরিবর্তন আসা শুরু করতে পারে এবং আগামী ৬ থেকে ১০ কিংবা 12 তারিখের মধ্যে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা মহিলাদের ব্যাংক একাউন্টে ঢুকে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাছাড়া যে সমস্ত নতুন মহিলারা লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করেছেন,

তাদের তাদের মধ্যে থেকে হাজার হাজার মহিলাদের নাম নতুন করে এই লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে যুক্ত হতে চলেছে। কারন প্রচুর মহিলারা ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন কমপ্লিট হয়েছে অনেকের আবেদন পত্র সংশোধন করা হয়েছে, ফলে এই সমস্ত মহিলারা এই জুন মাসে এই লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পেতে পারেন ব্যাংকে।

লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের পাশাপাশি কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা ও আসতে পারে এই জুন মাসে বিগত বছরগুলিতে যদি দেখা যায় সে ক্ষেত্রে খরিফ মরশুমের টাকা দেওয়া হয়েছিল জুন মাসে,

তাই অনুমান করা হচ্ছে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা ও জুন মাসে আসতে পারে, জুন মাসের ২০ থেকে ২২ তারিখের মধ্যেই এই টাকা আসার একটা বড় সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও অফিসিয়াল কোন বিজ্ঞপ্তি এই মুহূর্তে প্রকাশিত করা হয়নি।

এমনি গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন । এবং আমাদের অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া পেজগুলি ফলো করতে ভুলবেন না।