7 দিনের মধ্যেই ঢুকবে কৃষক বন্ধুর টাকা! জানিয়ে দিল কৃষি আধিকারিক….

কৃষক বন্ধুর টাকা
July 11, 2025 | 10:34 pm | By Khobor7din

পশ্চিমবঙ্গ মূলত কৃষি প্রধান রাজ্য, এখানে প্রচুর মানুষ কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করেছেন, আর এই কৃষক বন্ধুর টাকা কবে ঢুকবে সেই নিয়ে জানতে চাইছেন? এবার তাদের জন্য সুখবর, শীঘ্রই আসতে চলেছে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা।

কৃষক বন্ধু প্রকল্প কি?

বাংলার প্রান্তিক ছোটখাটো কৃষক বা যারা দরিদ্র কৃষক রয়েছেন তাদের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছিলেন এই কৃষক বন্ধু প্রকল্প। ২০১৯ সালে চালু হওয়া এই কৃষক বন্ধুর প্রকল্পে আবেদন করলে প্রথমে আগে ৫০০০ এবং ২০০০ টাকা করে দেওয়া হতো।

যেটা বছরে দুটি সমান কিস্তিতে পাওয়া যেত। তবে পরবর্তী সময়ে নির্বাচনের আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের টাকা বাবন করার কথা ঘোষণা করেন। ভোটে জিতলে এই প্রকল্পের টাকা পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। আর সেই অনুযায়ী রাজ্যে পুনরায় ক্ষমতায় এসে লক্ষ্মী ভান্ডারের পাশাপাশি এই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকার পরিমাণও বাড়ানো হয়। এখন কৃষক বন্ধুরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে বছরের সর্বোচ্চ 10 হাজার টাকা এবং সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকার কিস্তি পাচ্ছেন।

কৃষক বন্ধুর টাকা, krishak Bandhu
কৃষক বন্ধুর টাকা, krishak bondhu

চাষ শুরু হলেও কৃষক বন্ধুর টাকায় অমিল!

পশ্চিমবঙ্গে এমন বেশ কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে দু ফসলি ধানের চাষ করা হয়। ঠিক একই রকম ভাবে কৃষকরা সেই সমস্ত জমিতে জোর কদমে আমন ধান রোপনের কাজ শুরু করেছেন। তবে এই চাষ শুরু করতে বেশ কিছু খরচ হয় যেমন টেকটার দিয়ে হাল বা নাঙ্গল দেওয়ার খরচ, বীজ বপন করার খরচ বা বীজ কেনার খরচ, চাষে সাহায্য করার জন্য শ্রমিকের পারিশ্রমিক সার কেনা থেকে শুরু করে একাধিক খরচ থাকে।

পিএম কিষান 20 নাম্বার কিস্তির টাকা দিতে ছয়টি নতুন নির্দেশ জানালো!

প্রতিবছর জুলাই মাসের আগেই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা ঢুকে যায় কিন্তু এখনো পর্যন্ত চাষিরা এই প্রকল্পের টাকা না পাওয়ায়,অনেকে ধার দেনা করে তাদের চাষের কাজ শুরু করেছেন। কবে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা ব্যাংক একাউন্টে আসবে সেই নিয়ে অবশ্য চিন্তা যায়নি মাথা থেকে। তবে খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে শীঘ্রই এই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা আসতে চলেছে ব্যাংক একাউন্টে।

কাদেরকে কত টাকা করে দেওয়া হয়?

কৃষক বন্ধু নতুন প্রকল্পে যে সমস্ত কৃষকরা আবেদন করেছেন এখন তাদেরকে এ বছরে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা এবং সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে যদি কোন কৃষকের কাছে এক একর বা তার থেকে বেশি চাষের জমি থেকে থাকে তাহলে সেই সমস্ত কৃষকরা বছরে 10000 টাকা দুটি সমান কিস্তিতে পাবেন। অর্থাৎ এই মরশুমে পাঁচ হাজার টাকার একটা কিস্তি পাবেন ব্যাংক একাউন্টে।

এছাড়া যে সমস্ত কৃষকের এক একরের নিচে জমি রয়েছে তাদেরকে জমির পরিমাণ হিসাবে টাকা দেওয়া হবে সেক্ষেত্রে কোন কৃষক তিন হাজার টাকা পেতে পারেন কোন কৃষক ২৫০০ টাকা পেতে পারেন বা সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকার কিস্তি পেতে পারেন।

1000014915
কৃষক বন্ধুর টাকা,Krishak Bondhu

কবে ঢুকবে কৃষক বন্ধুর টাকা?

আমন ধান চাষ শুরু হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কৃষকরা তাদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাননি। বেশ কিছু কৃষকের দাবি কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা না ঢোকায় তারা বেশ বিপাকে পড়েছেন। অনেকে বলছেন কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা অন্যান্য সময় আগের মাসেই আমরা পেয়ে যেতাম।। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা ঢুকলো না।

তবে এদিকে বর্তমান পত্রিকার খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, চাঁচলের ব্লক নাম্বার ১ এর সহ কৃষি অধিকর্তা যার নাম দীপঙ্কর দেব, তিনি জানিয়েছেন কৃষক বন্ধু প্রকল্পে কেন টাকা দিতে দেরি হচ্ছে! উনার কথায় ইতিমধ্যেই কৃষক বন্ধু প্রকল্পে টাকা দেওয়ার জন্য শুরু হয়েছে তোর জোর, প্রায় সমস্ত কৃষকের ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন বা নথী যাচাই সম্পূর্ণ হয়েছে। এবার টাকা দেওয়ার পালা, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে কৃষক বন্ধুর টাকা ঢুকে যাবে।

বিগত মাস গুলিতে যদি আমরা লক্ষ্য করি, সেখানে দেখা গেছে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা মূলত বছরের দুটি কিস্তিতে দেওয়া হচ্ছিল রবি মরশুমের টাকা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডিসেম্বর মাসে দেওয়া হচ্ছিল এবং খারিফ মরশুমের টাকা দেওয়া হচ্ছিল জুন মাসে। তবে 2025 সালে তার কিছুটা ব্যতিক্রম দেখা দিয়েছে। জুন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত টাকা কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে ঢোকেনি। তবে সহ কৃষি আধিকারিকের কথায় কৃষক বন্ধুর টাকা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ খবর সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। সঙ্গে আমাদের অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া পেজগুলি ফলো করতে ভুলবেন না।

WhatsApp ChannelClick Here
Facebook PageClick Here

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *