৬০,০০০ টাকা ঢোকা শুরু! বাংলা আবাস এর টাকা দিতে মেসেজ দিচ্ছে নবান্ন। যারা টাকা পাচ্ছেন না কবে টাকা ঢুকবে?

এবার বাংলা আবাস যোজনা টাকা দিতে বড়সড়ো পদক্ষেপ নবান্নের। শুরু হয়ে গেল টাকা ছাড়ার কাজ, প্রথম কিস্তি ৬০ হাজার টাকা ঢুকে যাবে ব্যাংক একাউন্টে, তবে যারা এখনো পর্যন্ত টাকা পাচ্ছেন না তারা কবে পাবেন?
টাকা দিতে মেসেজ পাঠাচ্ছেন গ্রামোন্নয়ন দপ্তর:-
বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা থেকে দীর্ঘদিন থেকেই বঞ্চিত রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের অর্থাৎ বাংলার মানুষ। তবে এবার বাংলার গরীব মানুষদের মাথার উপর ছাদ তৈরি করে দেওয়ার জন্য বড় পদক্ষেপ নিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার বাংলার মানুষদেরকে সেই ঘরের টাকা রাজ্যের তহবিল থেকে দেওয়া শুরু করেছেন। যার নাম দেওয়া হয়েছে বাংলা আবাস যোজনা।
Pmkisan 20 installment date 2025
গত ১৭ ই ডিসেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে টাকা ছাড়া শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে টাকাটা গরিব ও খেটে খাওয়া প্রত্যেকটা গৃহহীন মানুষ অথবা যাদের কাচা বাড়ি বা যারা আর্থিকভাবে দুর্বল তাদেরকে বাড়ি তৈরি করার জন্য সরাসরি তাদের ব্যাংক একাউন্টে 1,20,000 টাকা দেওয়া হচ্ছে।
যার প্রথম কিস্তির 60 হাজার টাকা শীঘ্রই আপনাদের ব্যাংক একাউন্টে ঢুকে যাবে। আর এই টাকা পাঠাতেই ইতিমধ্যে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের তরফ থেকে উপভোক্তাদের মোবাইলে মেসেজ পাঠানো হচ্ছে।
কোন কোন কারনে টাকা ঢুকতে দেরি হচ্ছে?
জানা যাচ্ছে যাদের টাকা এখনো পর্যন্ত ব্যাংক একাউন্টে ঢুকলো না কেন টাকা ঢুকছে না কবে থেকেই বা টাকা ঢুকতে পারে? …..টাকা ব্যাংক একাউন্টে না ঢোকার মূলত দুটি কারণ হতে পারে
১) ব্যাংক একাউন্টে কোনরকম যদি সমস্যা থেকে থাকে যেমন ব্যাংক একাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ডের লিংক অথবা ইনঅ্যাক্টিভ ব্যাংক একাউন্ট কারো যদি থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এই আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা নাও আসতে পারে।
তাই বাংলা বাড়ির প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনার ব্যাংক একাউন্ট কে ঠিক রাখতে হবে। অন্যথায় কোনভাবেই আপনার একাউন্টে এই টাকা ঢুকবে না।
২) দ্বিতীয়তঃ লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পে যেমন ধাপে ধাপে মহিলাদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা দেওয়া হয় ঠিক একইভাবে এই আবাস যোজনায় ১২ লক্ষ উপভোক্তার ব্যাংক একাউন্টের 60 হাজার টাকা করে একসঙ্গে পাঠানো সম্ভব নয়।
সেক্ষেত্রে একসঙ্গে টাকা পাঠালে সার্ভার ডাউন হয়ে যেতে পারে। ফলে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে যেমন ধাপে ধাপে টাকা দেওয়া হয়, একইভাবে এই বাংলা আবাস যোজনাতেও ধাপে ধাপে টাকা পেতে পারেন উপভোক্তারা।…
…তাই এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত উপভোক্তারা বাড়ির টাকা পাচ্ছেন না চিন্তা করবেন না আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আপনাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা চলে আসতে পারে।
কাদের পঞ্চায়েত থেকে ফোন করা হচ্ছে?
ইতিমধ্যে যে সমস্ত উপভোক্তাদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢুকছে না বা টাকা পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না, প্রায় প্রত্যেক এলাকার পঞ্চায়েত থেকে সেই সমস্ত উপভোক্তাদেরকে ফোন করা হচ্ছে এবং জানানো হচ্ছে কি কারনে তাদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢুকছে না।
বিশেষ করে যদি কোন উপভোক্ততার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা আধার কার্ড সম্বন্ধীয় কোন সমস্যা থেকে থাকে বা অ্যাকাউন্ট নাম্বার আপডেট করতে কোন ভুল হয়ে থাকে, তাদেরকে অ্যাকাউন্ট নাম্বার সহ আধার কার্ডের জেরক্স নিয়ে পঞ্চায়েতে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে, যাতে করে কোন রকম ভুল থাকলে সেগুলোকে সংশোধন করে আবার তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো যায়। তবে এটা সবাইয়ের ক্ষেত্রে নাও প্রযোজ্য হতে পারে
কাদের মোবাইলে মেসেজ পাঠানো হচ্ছে?
তাছাড়া বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যাদের নাম সঠিকভাবে নথিভুক্ত হয়েছে বা পঞ্চায়েত থেকে যাদেরকে ফোন করার পর আবারও তাদের নামগুলোকে কারেকশন বা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নতুন করে আপডেট বা একাউন্ট ভ্যালিডেশন করা হয়েছে তাদের মোবাইলেও একটি করে কনফার্মেশন মেসেজ পাঠানো হচ্ছে।…..
যে বিজ্ঞপ্তিটা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পাঠানো হচ্ছে। সেখানে জানানো হয়েছে, আপনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বাংলা বাড়ির গ্রামীণ প্রকল্পের জন্য অর্থাৎ গৃহ নির্মাণের জন্য 1 লক্ষ 20 হাজার টাকার আর্থিক অনুমোদন পেয়েছেন । শীঘ্রই প্রথম কিস্তির 60000 টাকা আপনার ব্যাংক একাউন্টে ঢুকে যাবে । পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর।……..
তাছাড়া যাদের মোবাইলে কোনরকম মেসেজ, এর আগে আসেনি, তারা চিন্তা করবেন না, আপনাদের সার্ভে করার সময় আপনার বাড়ি থেকে যদি ব্যাংক একাউন্ট এবং আধার কার্ডের জেরক্স আধিকারিকরা নিয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে তারাই আপনাদের অ্যাকাউন্ট ভ্যালিডেশন করে দেবে এবং আপনাদের ব্যাংক একাউন্টে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এই টাকা চলে আসবে। ইতিমধ্যে পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের তরফ থেকে ধীরে ধীরে এই টাকা ছাড়ার কাজ শুরু হয়েছে, ধাপে ধাপে টাকা দেওয়া হচ্ছে ফলে প্রত্যেকের ব্যাংক একাউন্টে একসঙ্গে এই টাকা না এলেও দু একদিন আগে পরে এই টাকা আপনারা পেয়ে যাবেন।
WhatsApp Channel | Click here |