১০০ বছর পর নতুন মৌজা ম্যাপ চালু হচ্ছে! পরিকল্পনা নবান্নের! Wb mouja map

সময়ের সাথে সাথে সমস্ত কিছুর বদল হয়েছে। বদলে গেছে, ঘরবাড়ি রাস্তাঘাটের মানচিত্র। তাই সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এবার ১০০ বছর পর নতুন মৌজা ম্যাপ চালু হচ্ছে! বানানোর পরিকল্পনা নবান্নের! উন্নতি হয়েছে মানুষের জীবন যাপনে। তবে রয়ে গিয়েছে সেই পুরানো যুগের জায়গা জমির মৌজা ম্যাপ, এবার এই মৌজা ম্যাপ কেই পরিবর্তন করতে চাইছে সরকার।
Table of Contents
কেন ১০০ বছর পর নতুন মৌজা ম্যাপ চালু হচ্ছে!
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সমস্ত কিছুই পরিবর্তন হচ্ছে। গ্রাম থেকে শহর প্রত্যেকটা এলাকায় কিছু না কিছু পরিবর্তন লেগেই থাকে। কিছু বছর আগে যেখানে বড় খালি মাঠ । আজ সেখানে তৈরি হয়েছে বিরাট বিরাট ইমারত। ফলে সেই সমস্ত জেলার রূপরেখা ও বদলে গেছে। কিছু এমন এলাকা রয়েছে যেখানে আগে কোন রাস্তাঘাট ছিল না, কিন্তু বর্তমানে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সেইখানে তৈরি হয়েছে ছোটখাটো বসত বাড়ি তৈরি হয়েছে রাস্তাঘাট জলের লাইন ফলে সমস্ত কিছুই পরিবর্তন হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে পুরানো মৌজায় যেখানে ডাঙ্গার উল্লেখ করা ছিল আর সেখানে বসতবাড়ি হয়েছে।
আধার কার্ড নিয়ে করাকরি নিয়ম চালু হলো! প্রত্যেককেই মানতে হবে নির্দেশ আঁধার দপ্তরের।
তবে জায়গার রূপ বদলালেও মৌজা ম্যাপ এ সেই পুরানো একই মানচিত্র রয়ে গেছে। কিছু ক্ষেত্রে চাষের জমি কিনে প্লটে প্লটে কলোনি তৈরি হয়েছে। কিন্তু সেইগুলো পুরানো মৌজা ম্যাপে চাষের জমি হিসাবেই রয়ে গেছে। তাই তাই এক কথায় নতুন সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এবার নতুন করে সিএস মৌজা ম্যাপ তৈরি করতে চাইছে নবান্ন।

কেন নতুন মৌজা ম্যাপ বানানোর পরিকল্পনা?
জানা যাচ্ছে বর্তমানে যেখানে যে জমির চরিত্র যেমন সেই অনুযায়ী এবার নতুন ম্যাপ তৈরি করা হবে। খবর অনুযায়ী ১৯২৫ সালের এই মৌজা ম্যাপ তৈরি করা হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে এই ম্যাপটিকে সিএস মৌজা ম্যাপ বা কাটাস্ট্রল ম্যাপ বলেও অনেকে জানতো। তারপর নতুন করে এই ম্যাপ সংশোধন করার কথা বা প্রস্তাব উঠে এলেও তা সঠিকভাবে করা সম্ভব হয়নি, তবে এবার নতুন করে এই মৌজা ম্যাপ তৈরি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে নবান্ন বলে জানা যাচ্ছে।
উদাহরণস্বরূপ রাজারহাট নিউটাউনে আগে মাঠের পর মাঠ ফাঁকা ছিল। কিন্তু এখন সেগুলো উন্নত ধরনের বিল্ডিং কমপ্লেক্সে পরিণত হয়েছে। তৈরি হয়েছে বেশ কিছু ব্যবসা-বাণিজ্যের জায়গা। ফলে ১০০ বছর পুরানো ম্যাপ দেখলে এখন এর সঙ্গে তার কোন মিল পাওয়া যাবে না। আর সেই জন্যই নতুন করে এই সিএস মৌজামের তৈরি করার কথা পুনরায় চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।
কখন নতুন মৌজা ম্যাপ তৈরি করা হয়?
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোন এলাকায় যদি ৩২ থেকে ৩৫ শতাংশ পরিবর্তন হয় সেক্ষেত্রে নতুন করে সার্ভে করতে হয়। যদি কোন রকম পরিবর্তন হয়, সেই পরিবর্তনগুলো নতুন ম্যাপের সংযোজন করতে হয়। কিন্তু বিগত প্রায় ৮০ থেকে ১০০ বছর ধরে তেমন কোন পরিবর্তন করা হয়নি মৌজা ম্যাপে। কলকাতা রাজারহাট নিউটাউনের পাশাপাশি নদিয়া মুর্শিদাবাদ বাঁকুড়া পুরুলিয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ প্রায় সব জেলাতেই একাধিক পরিবর্তন এসেছে। বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে পার্ক তৈরি হয়েছে। কোথাও রাস্তার ধারে দোকান তৈরি হয়েছে। আবার কোথাও চাষের জমি থেকে তৈরি হয়েছে পাকা বাড়ি।
আর এই সমস্ত কিছু তথ্য যদি নতুন ম্যাপে আপডেট না করা হয় সেক্ষেত্রে অদূর ভবিষ্যতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর সেই জন্যই নতুন মৌজা ম্যাপের প্রয়োজন বলে মনে করছে আধিকারিকরা।
কিভাবে নতুন মৌজা ম্যাপ তৈরি করা হবে?
জানা যাচ্ছে এই নতুন মৌজামের তৈরি করার জন্য প্রত্যেক এলাকাতে আবারো সার্ভে শুরু করা হতে পারে। গ্রামে গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে নতুন করে সার্ভে হতে পারে। শুধু গ্রাম নয় শহরতলী এবং শহরেও এই সার্ভে হবে বলে জানা যাচ্ছে। নতুন মৌজা ম্যাপ তৈরি করার জন্য সাহায্য নেয়া হবে ড্রোন ক্যামেরার। পাশাপাশি ভেক্টর সার্ভেও করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।

কোন কোন জেলায় আগে মৌজা ম্যাপ এর সার্ভে হতে পারে?
নবান্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী এবং জাগো বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যাচ্ছে এই মৌজা ম্যাপ তৈরি হতে পারে তিনটি ধাপে। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত জেলাগুলো রয়েছে সেই সমস্ত জেলাগুলিকে তিনটে ভাগে ভাগ করা হবে।
- যেমন প্রথম ভাগে সমীক্ষা করা হবে হুগলি জেলা পূর্ব মেদিনীপুর হাওড়া জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর পূর্ব বর্ধমান এবং ঝাড়গ্রামে। এই সমস্ত জেলাগুলিতে প্রথম ভাগে সমীক্ষা করা হতে পারে। প্রথম ভাগের সমীক্ষা হয়ে গেলে। শুরু হবে দ্বিতীয় ভাগের সমীক্ষা।
- দ্বিতীয় ভাগের সমীক্ষা হতে পারে পুরুলিয়া পশ্চিম বর্ধমান বাঁকুড়া জেলা নদিয়া জেলা বীরভূম জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা উত্তর চব্বিশ পরগনা এই সমস্ত জেলাতে। এরপর শুরু হবে তৃতীয় ধাপের সমীক্ষা।
- এরপর যখন তৃতীয় ধাপের সমীক্ষা শুরু হবে জানা যাচ্ছে আলিপুরদুয়ার জেলা সঙ্গে থাকবে জলপাইগুড়ি, তার সাথে কোচবিহার দার্জিলিং উত্তর দিনাজপুর মালদহ দক্ষিণ দিনাজপুর এবং কালিম্পং। এই সমস্ত জেলাতে শেষের ধাপে সমীক্ষা করা হবে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত দ্বীপ অঞ্চল গুলো রয়েছে। বা পাহাড়ি যে সমস্ত এলাকাগুলো রয়েছে সেখানেও ড্রোন ক্যামেরা সাহায্য নিয়ে এই সমীক্ষা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
নতুন মৌজা ম্যাপ তৈরি হলে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলায় কোন জায়গায়? কি রয়েছে কোন স্থাপনা রয়েছে কিনা সমস্ত কিছুই খুব সহজেই মৌজা ম্যাপের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যেতে পারে। এই মৌজা ম্যাপের নতুন পরিবর্তন ২০২৪ সালেও হওয়ার কথা ছিল। তবে এবার আশা করা যাচ্ছে এই নতুন চলতি বছরেই এই কাজ শুরু হতে পারে!
এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট টিকে সাবস্ক্রাইব করবেন। সাথে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল এবং facebook পেজটিকেও ফলো করতে ভুলবেন না।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে যুক্ত হতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন:-whatsapp চ্যানেল khobor7din
আমাদের ফেসবুক পেজে যুক্ত হতে এই লিংকে ক্লিক করুন:- facebook page khobor7din