সব কৃষকরা পাবে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা, ফসলের ক্ষতিপূরণ নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর…

কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা কবে ঢুকবে এই নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন সমস্ত চাষী ভাইরা। অনেকেই ভাবছিলেন কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা হয়তো আর ব্যাংকে ঢুকবে না! তবে এবার সব চিন্তার অবসান ঘটিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বড় ঘোষণা,,,,,
কৃষক বন্ধু প্রকল্প আসলে কি?
২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের খেটে খাওয়া কৃষকদের জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চালু করা হয় কৃষক বন্ধু প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের বীজ কেনা থেকে শুরু করে স্যার শ্রমিক খরচ দিতে অর্থ সাহায্য করা হয় রাজ্যের তরফ থেকে।
কত টাকা পাওয়া যায় কৃষক বন্ধু প্রকল্পে?
কৃষক বন্ধু প্রকল্পে যে সমস্ত কৃষকরা আবেদন করবেন সেই সমস্ত কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে বছরে দুবার করে টাকা দেওয়া হয়। আগে এই প্রকল্পে টাকার পরিমাণ একটু কম থাকলেও এখন কিন্তু ভালো পরিমাণের টাকা পাওয়া যায়। যদি কোন কৃষকের ১ একর কিংবা তার থেকে বেশি চাষের জমি থেকে থাকে তাহলে সেই সমস্ত কৃষককে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেওয়া হয়। এবং এক একরের নিচে জমি থাকলে জমির পরিমাণ হিসেবে টাকা পান। তবে সবথেকে খুশির খবর হল এই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সর্বনিম্ন ৪০০০ টাকা দেওয়া হয় কৃষকদের, যেটা বছরে দুটি সমান কিস্তিতে ২০০০ টাকা করে একাউন্টে ঢোকে।
মে মাসে মিলবে আবাস যোজনার টাকা, নতুন ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী

এই মুহূর্তে প্রকল্পে কি হালচাল?
এই মুহূর্তে যে সমস্ত চাষী ভাইরা কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করেছেন তারা এই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকার অপেক্ষায় রয়েছেন। কিছু কিছু জেলায় আমন ধানের চাষ শুরু হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা মেলেনি। তবে এবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা দেওয়া নিয়ে মুখ খুলেছে।
কিভাবে আবেদন করা যাবে?
আপনি যদি কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করতে চান, সেক্ষেত্রে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করা যেতে পারে। এছাড়াও আপনি বছরের যে কোন সময় আপনার এলাকার যে বিডিও অফিস বা আপনার নিকটবর্তী পঞ্চায়েত অফিস রয়েছে সেখানে যোগাযোগ করতে পারেন। এখান থেকে ফরম সংগ্রহ করে ফিলাপ করে সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দিয়ে জমা করলে আপনিও পেতে পারেন কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা।
WhatsApp Channel | Join Now |
Facebook Page | Click here |
কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদনের শর্ত কি?
কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করতে হলে অবশ্যই আবেদনকারী কৃষককে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদনকারী কৃষকের একটি নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে। নিজের নামে চাষের জমি থাকতে হবে কৃষকদের তবে শর্তসাপেক্ষে ভাগ চাষী বা ভাড়াটিয়া চাষীরাও এই কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করতে পারেন। কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদনের জন্য আবেদনকারী কৃষকের বয়স অবশ্যই ১৮ বছরের উপরে হতে হবে, তবেই এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে।
বাংলার শস্যবীমা যোজনা কি?
কৃষক বন্ধুদের জন্যই এই প্রকল্পটি তৈরি করা হয়েছে। মূলত এই প্রকল্পে যে সমস্ত কৃষক বন্ধুরা আবেদন করেছেন বাকি সব বন্ধু প্রকল্পে যে সমস্ত চাষী ভাইরা আবেদন করেছেন তাদের যদি কোনভাবে ফসলের ক্ষতি হয় সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ফসলের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। এর আগে যে সমস্ত কৃষকের আলু চাষের ক্ষতি হয়েছিল, সেই সমস্ত আলু চাষীদের টাকা পাঠিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী। তবে যারা এখনো পর্যন্ত ভেরিফিকেশনের জন্য টাকা পাননি ধীরে ধীরে আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢুকতে পারে।

কৃষক বন্ধুর টাকা দেওয়া নিয়ে কি জানালো মুখ্যমন্ত্রী?
এদিকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা দেওয়া নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী নতুন ঘোষণা করেছেন। গত মঙ্গলবার এর সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান: কৃষকদের যে টাকাটা এখনো বাকি রয়েছে, শীঘ্রই সেই টাকাটা দেওয়া শুরু করা হবে। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা শীঘ্রই কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ছাড়া হবে যার প্রস্তুতি ও শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এই টাকা ছাড়ার বিষয়ে নির্দিষ্ট কোন তারিখের কথা তিনি সাংবাদিক বৈঠক থেকে ঘোষণা করেননি।
তবে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, যে সমস্ত চাষীদের এই বর্ষাকালীন পরিস্থিতিতে ফসলের ক্ষতি হবে বা জলের তলায় যে সমস্ত ফসলগুলো পচে গিয়ে নষ্ট হয়ে যাবে , সেই সমস্ত কৃষকরা চিন্তা করবেন না। আপনাদের জন্য বাংলার শস্য বীমা যোজনা রয়েছে, এই প্রকল্পের পুরো ও প্রিমিয়ামের টাকাটাই দেয় রাজ্য সরকার। তাই কৃষকদের কোনরকম ফসলের ক্ষতি হলে রাজ্য সরকার সেই ফসলের ক্ষতিপূরণ দেবে এমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ যেতে আমাদের ওয়েবসাইটে সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকবেন।