লক্ষ্মী ভান্ডার বড় সুখবর 2025, এপ্রিল মাসেই বড় চমক! Lakshmi Bhandar Payment update!

বাংলার মা বোনেদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছিলেন, লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্প। এবার লক্ষ্মী ভান্ডার বড় সুখবর 2025, এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি মাসে মহিলাদের ব্যাংক একাউন্টে দেওয়া হচ্ছে হাত খরচের টাকা। তবে এপ্রিল মাসেই বড় চমক আসতে পারে লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পে!
বিষয়সূচি:
ঘরে ঘরে লক্ষী ভান্ডার:-
২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যদি রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসে, সেক্ষেত্রে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করবেন তিনি। সেই অনুযায়ী লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প শুরু হয়। লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে প্রথমে ৫০০ এবং ১০০০ টাকা করে দেওয়া শুরু হলেও পরবর্তী সময়ে, এই টাকার পরিমাণকে প্রায় দ্বিগুণ করা হয়।
এখন সাধারন মহিলারা 500 এর পরিবর্তে 1000 টাকা এবং 1000 টাকার পরিবর্তে তবে সেটা তপশিলি জাতি ও উপজাতি মহিলাদেরকে আরো 200 টাকা বাড়ানো হয়েছে, অর্থাৎ এখন এই সমস্ত মহিলারা পাচ্ছেন 1200 টাকা করে তাদের ব্যাংক একাউন্টে। ইতিমধ্যে রাজ্যের প্রায় ২ কোটি ২১ লক্ষ মহিলারা লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পাচ্ছেন। যেটা পরবর্তী সময়ে আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কারা লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে আবেদনের যোগ্য?
বর্তমানে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে রাজ্যের বেশিরভাগ মহিলারাই আবেদন করেছেন। তবে এই প্রকল্পে আবেদন করে 1000 ও 1200 টাকা পাওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত মানতে হয়।
এপ্রিল মাসে বদলে যাচ্ছে দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি নতুন নিয়ম!
- ১) লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করার জন্য অবশ্যই আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী একজন মহিলা হতে হবে।
- ২)আবেদনকারী মহিলার বয়স অবশ্যই ২৫ বছর বা ২৫ বছরের উপরে হতে হবে। এবং ৬০ বছরের নিচে হতে হবে।
- ৩) আবেদনকারী মহিলার নিজের নামে একটি ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে? তবে জয়েন্ট ব্যাংক একাউন্ট দিলে চলবে না, সিঙ্গেল ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।
- ৪) যে ব্যাংক একাউন্ট আবেদনের সময় সংযুক্ত করবেন তার সঙ্গে অবশ্যই আধার কার্ডের লিংক থাকা বাধ্যতামূলক।
- ৫) তপশিলি জাতি উপজাতি কিংবা সাধারণ শ্রেণীর মহিলা প্রত্যেকেই এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন।
- ৬) আবেদনের জন্য অবশ্যই আবেদনকারীর কাছে একটি চলতি মোবাইল নাম্বার এবং আধার কার্ড নাম্বার থাকতে হবে।
- ৭) আবেদনকারীর কাছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা বাঞ্ছনীয়।
কারা লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পাবেন না?
- ১) আবেদনকারী মহিলা বা তার পরিবারের সদস্য যেমন: বাবা বা স্বামী সরকারি চাকরিজীবী হওয়া উচিত নয়।
- ২) আবেদনকারী মহিলার পরিবার বা তার স্বামী কিংবা বাবা ইনকাম ট্যাক্স দিয়ে থাকলে এই প্রকল্পে আবেদনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
- ৩) আবেদনকারী মহিলা যদি কোন সরকারি সংস্থায় কর্তব্যরত থাকে সে ক্ষেত্রেও তিনি আবেদনের যোগ্য নয় বলে বিবেচিত হবেন।
- ৪) আবেদনকারী মহিলার কাছে অবশ্যই নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট স্বাস্থ্য সাথী কার্ড আধার কার্ড বা প্রয়োজনীয় নথি থাকতে হবে না হলে এই প্রকল্পে আবেদন করে টাকা পাবেন না।

এপ্রিল মাসে লক্ষী ভান্ডারে সুখবর:
গতবারে যে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প হয়েছিল সেই দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে নতুন করে কয়েক লক্ষ মহিলারা নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। যাদেরকে ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারিখ থেকেই সুবিধা প্রদান করার কথা ছিল।
তবে পুরনো মহিলারা যেমন টাকা পাচ্ছিলেন, ঠিক তেমন টাকাই ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসেও পেয়েছিলেন, সঙ্গে নতুন মহিলারা অনেকে এই টাকা পেয়ে থাকলেও অনেকেই কিন্তু এই টাকা ব্যাংক একাউন্টে পাননি।
তবে কিছু মহিলারা লক্ষী ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেলেও, বেশিরভাগ নতুন মহিলারা লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা এপ্রিল মাসে পাইনি। তবে এবার সেই সমস্ত মহিলাদের জন্যই সুখবর এই এপ্রিল মাসে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে এপ্রিল মাসে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে প্রচুর নতুন মহিলারা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পেতে চলেছেন। কারণ ইতিমধ্যে যে সমস্ত নতুন মহিলারা লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করেছিলেন, তাদের মধ্যে প্রচুর মহিলাদের ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন কমপ্লিট হয়েছে। যাদেরকে এই এপ্রিল মাস থেকেই টাকা দেওয়াও হতে পারে।
লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা দিতে দেরি হবে?
লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা প্রতি মাসের ১ তারিখ থেকে ১০ তারিখের মধ্যেই সমস্ত মহিলাদের ব্যাংক একাউন্টে জমা দেওয়া হয়। তবে এই এপ্রিল মাসে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা আনুমানিক ৭ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে জমা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
তবে ধাপে ধাপে টাকা দেওয়ার ফলে সবার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে একই সময় টাকা নাও আসতে পারে। কোন জেলায় আগে বা কোন জেলায় পড়ে টাকা ঢুকতে পারে। কম্পিউটারে র্যান্ডমলি টাকা দেওয়ার কারনে বেশ কিছু জেলায় আগে টাকা ঢোকার সম্ভাবনা থাকে। যেমন উদাহরণস্বরূপ:
আলিপুরদুয়ার বাঁকুড়া বীরভূম কোচবিহার দার্জিলিং দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর, হাওড়া হুগলি কলকাতা। এই সমস্ত জেলায় প্রথম দফায় আগে টাকা আসতে পারে। তাছাড়া পরবর্তী দফায় কালিম্পং মালদহ মুর্শিদাবাদ মেদিনীপুর নদিয়া উত্তর ২৪ পরগনা দক্ষিণ 24 পরগনা ঝারগ্রাম জলপাইগুড়ি সহ বাকি সমস্ত জায়গায় টাকা দেওয়া হতে পারে।
রেনডমলি টাকা দেওয়ার জন্য কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম আগে পরে বা কিছু জেলা আগে পরে টাকা পেতে পারে। তবে সমস্ত জেলার মহিলারাই যারা সমস্ত কিছু কাগজপত্র ঠিকঠাক দিয়েছেন তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ধাপে ধাপে টাকা দেওয়া হবে।
এমনই গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। সঙ্গে আমাদের whatsapp চ্যানেল এবং facebook পেজটি ফলো করে রাখুন… লিংক নিচে দেওয়া হল।
WhatsApp Channel | Click Here |
Facebook Page | Click Here |
উপরের লিংকে ক্লিক করে তাড়াতাড়ি আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলি ফলো করে নিন।