লক্ষী ভান্ডার ও কৃষক বন্ধু 2025 টাকা কবে ঢুকবে? সব চিন্তার অবসান..

লক্ষী ভান্ডার ও কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা কবে ঢুকবে?এই প্রকল্পে এখন 2 কোটি 15 লক্ষেরও বেশি মহিলারা সুবিধা পাচ্ছেন। তবে জুলাই মাসের আগে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা নিয়ে বড় ঘোষণা হল রাজ্য বিধানসভায়, লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে এখন বর্তমানে মহিলারা পাচ্ছেন 1000 টাকা এবং 1200 টাকা করে। যে টাকার পরিমাণ ভবিষ্যতে বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা কবে ব্যাংকে ঢুকতে পারে সেটাও এই প্রতিবেদনে আপনাদেরকে জানাবো।
রাজ্যের কৃষকদের জন্য চালু করা হয়েছিল কৃষক বন্ধু প্রকল্প, এই প্রকল্পটি ২০১৯ সালে চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সময় জানানো হয় কৃষক বন্ধুর প্রকল্পে যে সমস্ত চাষী ভাইরা আবেদন করবেন তাদেরকে চাষের কাজে সহযোগিতা করার জন্য, যেমন ধানের ধানের বীজ চাষের জন্য হালের খরচ সারের খরচ এই সমস্ত খরচ গুলো থেকে চাষীদের বাঁচানোর জন্য, কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে দেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা বছরে এবং সর্বনিম্ন বছরের চার হাজার টাকা। দুটি কিস্তিতে এই টাকা দেওয়া হয়।
একইভাবে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পেও যে সমস্ত মহিলারা আবেদন করেছেন তাদেরকে হাত খরচ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বর্তমানে যারা তপশিলি জাতি কিংবা উপজাতি রয়েছেন তাদেরকে 1200 টাকা এবং যারা সাধারন রয়েছে তাদেরকে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পটা নিয়ে একাধিক জনসভা থেকে ও বক্তৃতা দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী যদি কোন ২৫ থেকে ৬০ বছরের মহিলারা এই প্রকল্পে আবেদন করেন এবং সুবিধানে তাহলে সারা জীবন তাদের এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হবে।
এবার রেশনে মিলবে বাড়তি খাদ্যশস্য, কোন কার্ডে অতিরিক্ত সুবিধা
এমনিতেই লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা নিয়ে রাজ্যের তরফ থেকে নোটিশে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, লক্ষী ভান্ডার টাকা পেতে হলে আবেদনকারী মহিলাকে
- পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী হতে হবে ।
- সঙ্গে আবেদনকারী মহিলার বয়স ২৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- এবং আবেদনকারী মহিলার নিজের নামে ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।
- জয়েন্ট ব্যাংক একাউন্ট হলে হবে না
- অবশ্যই আধার কার্ডের সঙ্গে ব্যাংক একাউন্টের লিংক ও থাকা বাধ্যতামূলক।
- তাছাড়া সরকারি চাকরি করলেও লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করা যায় না।
এই সমস্ত শর্তগুলি পূরণ করলে তবেই লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা আপনাদের ব্যাংক একাউন্টে আসবে।
২০২১ সালের চালু হাওয়া লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের গ্রাম বাংলার প্রায় প্রত্যেকটা মহিলারাই আবেদন করে রেখেছেন যাদেরকে মাসে ১০০০ এবং ১২০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। তবে যে সমস্ত মহিলারা নতুনভাবে লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করেছেন তাদের ব্যাংকে জুলাই মাসে টাকা আসবে কিনা এই নিয়ে অনেকেই চিন্তায় রয়েছেন।
তো আপনাদের জানিয়ে রাখা ভালো আপনি যদি লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে নতুন ভাবে আবেদন করে থাকেন তাহলে
- যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন হবে
- এবং সেটা এপ্রুভ হবে ততক্ষণ আপনি ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাবেন না।
লক্ষী ভান্ডার টাকা কবে ঢুকবে?
জানা যাচ্ছে জুলাই মাসের ১ তারিখে ডক্টর বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মদিন তাহলে এই দিন টাকা দেওয়ার কাজ নাও হতে পারে, টাকা দেওয়া শুরু হতে পারে ৩ তারিখ কিংবা ৪ তারিখ থেকে তাছাড়া ৬ তারিখে মহরম এর কারনেও এই দিন ব্যাংক বন্ধ হলে লক্ষী ভান্ডারের টাকা ঢুকবে না। তবে আশা করা যাচ্ছে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা জুলাই মাসের ১০ তারিখ বা 12 তারিখের মধ্যে এই মহিলাদের ব্যাংক একাউন্টে ঢুকে যেতে পারে।

কৃষক বন্ধুদের টাকার খবর:-
এদিকে যে সমস্ত চাষী ভাইরা রয়েছেন তারাও চিন্তা করছেন কবে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা ঢুকবে? কৃষক বন্ধু প্রকল্পে দুটি মরশুমে টাকা দেয়া হয়। কৃষক বন্ধু খারিফ মরসুম এবং রবি মরসুম, দুটি সমান কিস্তিতে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এবং বিগত বছর গুলির যদি টাকা দেওয়ার হিসাব দেখা যায়, সেক্ষেত্রে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা ২০২১ সালে খারিফ মরসুম এর ১৭ই জুন দেওয়া হয়েছিল,
কৃষক বন্ধু খবর:
২০২২ সালে জুন মাসের ২৭ তারিখে দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী 2025 সালে খারিফ সিজনের টাকা জুন মাসের শেষের দিকেই দেওয়ার সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু এখনো পর্যন্ত কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা না দেওয়ায় চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা। তবে অনুমান করা হচ্ছে কৃষক বন্ধুর প্রকল্পের টাকা জুলাই মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে দেওয়া হতে পারে।
এমনই গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।
WhatsApp Channel | Click Here |
Facebook page | Click Here |