মে মাসে ও মিলবে আবাস যোজনার টাকা 2025, Bangla Bari payment update

যারা এখনো পর্যন্ত বাংলা বাড়ি টাকা পাননি, তাদের জন্য আবাস যোজনার টাকার বড় সুখবর। আবাস যোজনা টাকা দেওয়া নিয়ে নতুন ঘোষণা হলো নবান্ন থেকে।
পশ্চিমবঙ্গে বাংলার বাড়ি প্রকল্প:
পশ্চিমবঙ্গের প্রায় বেশিরভাগ গ্রামে গঞ্জে খেটে খাওয়া মানুষের অভাব নেই, কেউ দিনমজুরের কাজ করে তো কেউ আবার ছোটখাটো কোম্পানিতে। দিনের শেষে পেটের ভাত জোগাতে নাজেহাল হয়ে ওঠে একাধিক পরিবার। তাছাড়া এমনও বহু পরিবার রয়েছে যাদের মাথার উপর ছাদের ব্যবস্থা নেই। কেউ কাঁচা বাড়িতে বসবাস করেন আবার কেউবা টালির বাড়িতে বসবাস করে। এমনও প্রচুর মানুষ রয়েছেন যারা নিজের টাকায় বাড়ি পর্যন্ত তৈরি করতে পারেননি, যাদের দুবেলা দুমুঠো অন্য জোগাতেই হিমশিম খেতে হয় তারা কিভাবে বাড়ি তৈরি করবেন?
শুরু হচ্ছে ভোটার ভেরিফিকেশন। এই ৪টি ডকুমেন্ট আছে তো?
আর এই সমস্ত মানুষদের জন্যই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে চালু করা হয়েছে দাও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। এই প্রকল্পের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার বাড়ির প্রকল্পের জন্য টাকা দিত মোট 120,000 টাকা পাওয়া যেত বাড়ি বানানোর জন্য। তবে বাংলা বাড়ির টাকা তছনছ এবং অনিয়ম করার অভিযোগের কারণে গত প্রায় ২-৩ বছর এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই রাজ্যের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয় কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পের টাকা না দিলেও। রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের টাকা উপভোক্তাদের ব্যাংক একাউন্টে দেবে তাও সম্পূর্ণ রাজ্য কোষাগার থেকে।
কাদেরকে বাংলা আবাস যোজনার টাকা দেওয়া হচ্ছে?
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে দেশে বসবাসকারী যে সমস্ত গরিব খেটে খাওয়া মানুষ রয়েছেন, বিশেষত যারা বিপিএল ক্যাটাগরির পরিবার। যাদের মাথার উপর ছাদের ব্যবস্থা নেই কাঁচা বাড়িতে বসবাস করেন। তাদেরকে 1 লক্ষ 20 হাজার টাকা দেওয়ার জন্য এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার গরিব মানুষদের বাড়ি দেওয়ার জন্য দেশ জুড়ে একাধিক জায়গায় সার্ভে করার নির্দেশ দেয়। এবং সেই অনুযায়ী আবাস যোজনার লিস্টে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২৮ লক্ষ উপভোক্তার নাম উঠেছিল।
তাদের মধ্যে থেকেই বাংলা আবাস যোজনার উপভোক্তা নির্বাচন করে টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যে লিস্ট পাওয়া গিয়েছিল, সেই লিস্টে সংশোধন করে নতুন করে লিস্ট তৈরি করে রাজ্য সরকার। তারপর যারা প্রকৃত আবাস যোজনা ঘর প্রাপক, তাদের ব্যাংক একাউন্টে গত ডিসেম্বর মাসের ১৮ কুড়ি তারিখের দিক থেকেই আবাস যোজনার প্রথম কিস্তি 60000 টাকা দেওয়া শুরু করে রাজ্য সরকার। প্রথম দফায় প্রায় ১২ লক্ষ উপভোক্তার ব্যাংক একাউন্টে এই ৬০ হাজার টাকার কিস্তি পাঠানো হয়। পরবর্তীতে শুরু হয় দ্বিতীয় কিস্তির 60000 টাকা দেওয়ার কাজ।

কারা দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাবে?
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যাদেরকে প্রথম কিস্তির 60000 টাকা দেওয়া হয়েছে। সেই সমস্ত উপভোগ তারা যদি আবাস যোজনার নিয়ম মেনে বাড়ি তৈরি করেন, তাহলে তিনি দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাবেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে উপভোক্তাকে লিলটন পর্যন্ত বাড়ির কাজ করতে হবে, যারা আগে লিলটন পর্যন্ত কাজ করবেন তাদেরকে দ্বিতীয় কিস্তির ৬০ হাজার টাকা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।
তেমনি প্রায় ৮ লক্ষ উপভোক্তা প্রথমে লিল্টন পর্যন্ত কাজ করেছিলেন, যারা দ্বিতীয় কিস্তির ৬০ হাজার টাকা তাদের ব্যাংক একাউন্টে পেয়েছেন। এবং জানা যাচ্ছে এখনো পর্যন্ত যারা বাড়ির কাজ করছেন লিংটন পর্যন্ত কাজ হয়ে গেলে, পঞ্চায়েত দপ্তরে খবর পাঠালে আবার আধিকারিকরা আপনার ছবি করে নিয়ে যাবে এবং আপনিও দ্বিতীয় পেতে সাত হাজার টাকা পাবেন।।
আবাস যোজনার টাকা মে মাসেও পাওয়া যাবে
এদিকে আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গত মঙ্গলবার এর নবান্ন বৈঠকে ঘোষণা করেন বাংলা আবাস যোজনায় মোট ২৮ লক্ষ উপভোক্তাকে বাড়ির টাকা দেয়া হবে। তার মধ্যে ১২ লক্ষ উপভোক্তার ব্যাংক একাউন্টে 1 লক্ষ 20 হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে। তবে যারা এখনো পর্যন্ত পাননি অর্থাৎ যাদের নাম মূলত ওয়েটিং লিস্টে রয়েছে। তাদেরকে প্রথমের টাকা আগামী ডিসেম্বর মাসে দেয়া হবে। এবং পরবর্তীতে মে মাসে দ্বিতীয় কিস্তির বাকি থাকা 60000 টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। আবাস যোজনার পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী কি সব বন্ধু প্রকল্প ফসলের ক্ষতিপূরণ ছাড়াও আরো একাধিক ঘোষণা করেছেন, যার বিস্তারিত তথ্য কিছুক্ষণের মধ্যেই আসতে চলেছে।
এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। সঙ্গে আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যান্য দেশগুলি ফলো করতে ভুলবেন না।
Click Here | |
Click Here |