মহিলারা পাবে মোবাইল ফোন 2025। ছাত্র-ছাত্রীদের ১০ হাজার টাকা

রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একাধিক জনমুখী প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে গরিব খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য। যার বেশিরভাগই মহিলাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। তবে এবার এই প্রকল্পের মাধ্যমেই মহিলারা পাবে মোবাইল ফোন 2025, সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে স্মার্ট ফোন কেনার জন্য।
বিষয়সূচি:
কোন ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া হবে দশ হাজার টাকা?
করোনা মহামারীর সময় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল স্কুল কলেজ, থমকে গিয়েছিল ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা। তাই সেগুলোকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তরুণের স্বপ্ন নামে একটি প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়। যার মাধ্যমে 12 শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে ১০ হাজার টাকার স্মার্টফোন দেওয়া শুরু হয়।
তবে স্মার্টফোনের বদলে সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে টাকা দেওয়া হয় ছাত্রছাত্রীদের, যাতে তারা ওই টাকা দিয়ে নিজেদের পছন্দের মোবাইল কিনতে পারেন। যেটা তারা পড়াশোনার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।
এপ্রিল মাসের লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে বড় সুখবর।
তবে এবার এই স্মার্টফোন দেওয়াতেই নতুন পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন ক্লাস ইলেভেন অর্থাৎ একাদশ শ্রেণীতে উঠলেই এই স্মার্ট ফোন কেনার দশ হাজার টাকা সরাসরি ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাংক একাউন্টে দেওয়া হচ্ছে।
কোন কোন মহিলারা পাবে মোবাইল ফোন, 2025 ?
দুয়ারে সরকারের আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 20 জানুয়ারি থেকে 21 জানুয়ারি (2025) বেশ কয়েকটি জনসভা করেছিলেন। সেখানেই তিনি মহিলাদেরকে স্মার্টফোন দেওয়ার বিষয়ে ঘোষণা করেন।
তিনি জানান আজকে কত মা বোনেরা, আজকে আশার মেয়েদের স্মার্টফোন দেওয়া হয়েছে। ICDS এর মেয়েদেরও সম্ভবত স্মার্টফোন দেওয়া হয়েছে। তবে এই জনসভা থেকে কিছু মহিলারা যারা মোবাইল পাননি তারা আপত্তি জানান, সেখানে এই মুখ্যমন্ত্রী তাদেরকে আশ্বাস দিয়ে বার্তা দেন।

আইসিডিএস এর মেয়েদের যদি স্মার্টফোন না দেওয়া হয় তাদেরকে যেন একটি করে স্মার্টফোন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সঙ্গে আশা কর্মী দিদিদের যে মোবাইল দেওয়ার কথা ছিল, সেই মোবাইল আশা কর্মী দিদিরা তারা তাদের হাতে পাননি।
এই নিয়ে জল্পনা উঠেছিল ঘোষণা হয়েছে, কিন্তু ফোন হাতে আসেনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আবারো সেই জল্পনা কাটিয়ে ঘোষণা করেন আশা কর্মীদের মোবাইল টেন্ডার দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ মোবাইল কেনার কাজ চলছে। কেনা হয়ে গেলেই সেগুলো মহিলাদের হাতে অর্থাৎ, ওই মোবাইল পৌঁছে দেওয়া হবে। এই ঘোষনার ফলে প্রচুর আশা কর্মী এবং অঙ্গনারী কর্মী, তারাও উপকৃত হতে পারেন।
রাজ্যের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে শুরু করে অঙ্গনারীতে ছোট বাচ্চাদেরকে পড়ানোর কাজ করে থাকে এই সমস্ত পাড়া বা গ্রামাঞ্চলের কর্মীরা। তাই তাদের কাছে স্মার্ট ফোন থাকাটা অত্যন্ত জরুরী।
কিন্তু প্রচুর মহিলারা এখনো পর্যন্ত এই স্মার্টফোন তাদের হাতে পাননি। তবে আশা করা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী যেহেতু টেন্ডার দেওয়া হয়েছে, যারা পাননি আগামী কিছু সময়ের মধ্যে আপনাদের হাতেও এই সুবিধা দেওয়া হতে পারে।
আর কি কি ঘোষণা করলেন?
এদিন জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু স্মার্টফোন নয়। আরো একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন। যেমন স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণের ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প: এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের ব্যাংক একাউন্টের সরাসরি 1000 টাকা এবং 1200 টাকা করে প্রধান করা হয়। প্রতি মাসের ১ থেকে ১০ তারিখের মধ্যেই এই প্রকল্পের টাকা, উপভোক্তাদের ব্যাংক একাউন্টে পৌঁছে যায়।
এপ্রিল মাসে বদলে যাচ্ছে একাধিক নিয়ম! কি কি সুবিধা বা অসুবিধা হতে পারে?
এছাড়াও বার্ধক্য ভাতা বিধবা ভাতা প্রতিবন্ধী ভাতা এই সমস্ত প্রকল্পেরও সুবিধা প্রদানের শুভ সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানানো হয় যারা আবেদন করেননি তারাও এই নতুন দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে এই সমস্ত প্রকল্পে আবেদন করে এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেন। দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে প্রায় 37 এর প্রকল্পের জন্য আবেদন করা যায়।
গত জানুয়ারি ফেব্রুয়ারিতে দুয়ারী সরকার হয়েছে, সেই অনুযায়ী যারা দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প থেকে আবেদন করেছিলেন, তাদের মধ্যে প্রচুর পুরুষ মহিলারা চলতি মাসেই আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।
তবে যারা এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে কোন কারণবশত আবেদন করতে পারেননি। পরবর্তীতে নতুন যে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট বা কাগজপত্রগুলি নিয়ে আপনি আপনার পছন্দসই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারেন।
এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে অবশ্যই সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলি ফলো করতে ভুলবেন না।
WhatsApp Channel | Click Here |
Facebook Page | Click Here |