পশ্চিমবঙ্গে কি বন্ধ হচ্ছে দুয়ারে রেশন পরিষেবা! 2025 খরচ কমাতে কি উদ্যোগ সরকারের?

বন্ধ হচ্ছে দুয়ারে রেশন পরিষেবা!

দুয়ারে রেশন প্রকল্পে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে সরকারের, পাশাপাশি পরিষেবার পরিকাঠামো অনেক খারাপ, তাই পশ্চিমবঙ্গের কি বন্ধ হচ্ছে দুয়ারে রেশন পরিষেবা! এমনই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসছে খবরের শিরোনামে।

ইতিমধ্যে এই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বেশ কয়েকটি রাজ্য তাদের নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রাজ্যগুলির বক্তব্য দুয়ারে রেশন প্রকল্পে প্রচুর পরিমাণে অতিরিক্ত টাকা খরচ হচ্ছে।

কিন্তু সেই অনুযায়ী সহজলভ্য পরিষেবা সাধারণ মানুষরা পাচ্ছেন না। ফলে বিপুল পরিমাণের টাকা খরচ করেও লাভ হচ্ছে না আমজনতার। সঙ্গে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে রাজ্যগুলি। তাই এবারে একাধিক রাজ্য গুলি দুয়ারের রেশন প্রকল্প বন্ধের পথে হাঁটছে বলে সূত্রের খবর।

জানা যাচ্ছে গত 20 মে অন্ধ্রপ্রদেশ মন্ত্রিসভা থেকে কিছু বৈঠক হয়, সেখানেই এই সমস্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যেটা দিল্লির খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রকে জানানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাছাড়া এই দুয়ারের সরকার প্রকল্প বন্ধের পিছনে ও একাধিক কারণ দেখাচ্ছে রাজ্যগুলো।

স্টেট ব্যাঙ্কে এই একাউন্ট থাকলে পাবেন ৬ টি সুবিধা কি কি?

বন্ধ হচ্ছে দুয়ারে রেশন পরিষেবা!

এদিকে দিল্লি সরকার আগেই দুয়ারে রেশন পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে তারপরেই জুন মাস থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার অর্থাৎ চন্দ্রবাবু নাইডু তিনিও তার রাজ্যে বন্ধ করতে চলেছেন দুয়ারে রেশন পরিষেবা। তাহলে কি পশ্চিমবঙ্গে ও বন্ধ হয়ে যাবে এই প্রকল্প? এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ গরিব খেটে খাওয়া মানুষ বিনামূল্যের রেশনের উপর নির্ভর করে তাদের জীবন যাপন করে থাকে। দুই বেলা দুমুঠো খাবার মেলে রেশনে দেওয়া চাল থেকেই। অনেক প্রতিবন্ধী বয়স্ক মানুষ রয়েছে যাদের রেশন দোকান থেকে রেশন তোলার মতো সমর্থ নেই।

বন্ধ হচ্ছে দুয়ারে রেশন পরিষেবা!
বন্ধ হচ্ছে দুয়ারে রেশন পরিষেবা!

এদিকে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্য সরকার বিনামূল্যে রেশন পরিষেবা বন্ধের জন্য একাধিক কারণ দেখিয়েছেন। 6 পাতার লেখা নির্দেশিকায় সেই সমস্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে দুয়ারে রেশন পরিষেবার কারণে অতিরিক্ত 1 হাজার 801 কোটি টাকা খরচ হচ্ছে রাজ্যের। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তারপরেও ভালোভাবে পরিষেবা মিলছে না। সঙ্গে …

  • খাদ্যশস্য যেগুলো রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে পাঠানো হচ্ছে ডিলারদের কাছে সেই সমস্ত খাদ্যশস্যের হিসাব সঠিকভাবে মিলছে না।
  • তাছাড়া যে যানবাহনে করে এই বিনামূল্যের শস্য সরবরাহ করা হয় তার অতিরিক্ত মেনটেনেন্স খরচ।
  • মাঝেমধ্যেই খারাপের জন্য সময়ের সময়ে রেশন না পৌঁছানো।
  • তাছাড়া খাদ্যশস্য দুর্নীতি সহ একাধিক সমস্যা রয়েছে।

তবে দুয়ারেরেশন পরিষেবা বন্ধ হলেও বিনামূল্যের রেশন পরিষেবা কিন্তু বন্ধ হচ্ছে না। বিনামূল্যে রেশন যেমন আগে পাওয়া যেত রেশন দোকান থেকে, এখন ঠিক তেমনি রেশন দোকান থেকে গ্রাহকরা তাদের রেশন সংগ্রহ করতে পারবেন।

পশ্চিমবঙ্গে কি সত্যিই বন্ধ হচ্ছে দুয়ারে রেশন পরিষেবা!

এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু দুয়ারে রেশন পরিষেবা বন্ধ হচ্ছে না, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গই এমন রাজ্য যেখানে ফ্রিতে বাড়িতে বাড়িতে বা পাড়াতে পাড়াতে বিনামূল্যের রেশন সরবরাহ করা হয়। বিনামূল্যে যেমন রেশনের চাল গম আটার মত খাদ্যশস্য পাওয়া যায় একইভাবে ওই খাদ্যশস্য সঠিকভাবে উপভোক্তার দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। জানা যাচ্ছে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় প্রায় ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ৮৮৫ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য, দুয়ারের রেশনের মাধ্যমে সরবরাহ করতে প্রতিবছর 408 কোটি টাকা ব্যয় করছে রাজ্য সরকার। তবে সময়ের সাথে সাথে এটা কম বেশি হতে পারে।

ইতিমধ্যে দিল্লি সরকারের পাশাপাশি অন্ধপ্রদেশ সরকার বিনামূল্যে রেশন বন্ধ করলেও পশ্চিমবঙ্গে এই পরিষেবা অব্যাহত রয়েছে। এবং বিগত দিনেও দুয়ারে রেশন পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে আশা করছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস সব ডিলার্সের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু। এর জন্য তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে অভিনন্দন ও জানিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন সাথে সাথে আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজগুলি ফলো করতে ভুলবেন না।

WhatsApp ChannelClick Here
Facebook PageClick Here

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *