জুন মাসেই 3 লক্ষ উপভোক্তাকে আবাস যোজনার দ্বিতীয় কিস্তির টাকা…

জুন মাসেই 3 লক্ষ উপভোক্তাকে আবাস

জুন মাসেই 3 লক্ষ উপভোক্তাকে আবাস যোজনার দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেবের রাজ্য সরকার। যারা এখনো পর্যন্ত টাকা পায়নি সেই সমস্ত ব্যাংক একাউন্টে যাতে টাকা দেওয়া যায় সেই অবস্থায়ই করতে বলা হয়েছে সঙ্গে দেওয়া হয়েছে বিশেষ কিছু শর্ত, এই শর্ত না মানলে অবশ্য আবার যোজনার টাকা ব্যাংক একাউন্টে ঢুকবে না।

বাংলা বাড়ির 1 লক্ষ 20 হাজার টাকা কবে?

গরিব মানুষদের মাথার উপর ছাদের ব্যবস্থা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে চালু করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, যার মাধ্যমে 120,000 টাকা গ্রামীণ মানুষদের ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি দেওয়া হত বাড়ি বানানোর জন্য।

তবে কেন্দ্র রাজ্যের সামান্য কিছু গরমিলের জন্য কেন্দ্রের তরফ থেকে আবাস যোজনার এই টাকা দেওয়া বন্ধ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জন্য।

লক্ষী ভান্ডার ও কৃষক বন্ধু কোন প্রকল্পে কবে টাকা? কত টাকা?

তবে পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দিলেও এবার সেই টাকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার লিস্ট থেকে এবং সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে বল গিভেনসেলে আসা আবেদনকারীদের থেকে কয়েক লক্ষ উপভোক্তার নাম নতুন লিস্টে যুক্ত করা হয়েছে যাদেরকে বাংলা বাড়ির 120,000 টাকা দেওয়া হবে।

জুন মাসেই 3 লক্ষ উপভোক্তাকে আবাস
জুন মাসেই 3 লক্ষ উপভোক্তাকে আবাস যোজনার টাকা

বাড়ি বানানোর জন্য। প্রথমেই ১২ লক্ষ উপভোক্তার ব্যাংক একাউন্টে দেওয়া হয়েছিল প্রথম কিস্তির 60 হাজার টাকা। যারা এই ৬০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি তৈরি করেছিলেন এবার তাদেরকে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে এখনও বহু মানুষ রয়েছেন যারা প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকাও তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাননি। তো যারা এখনো পর্যন্ত টাকা পাননি তারা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে বল যে অভিযোগ নাম্বার রয়েছে সেখানে ফোন করে আপনাদের সমস্যার কথা জানাতে পারেন।

গত মে মাসের 20 তারিখে উত্তরবঙ্গের একটি জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা আবাস যোজনা আর টাকা দেওয়ার কাজের সূচনা করেন। তখন থেকেই ঢুকতে শুরু হয়েছে উপভোক্তাদের ব্যাংকে টাকা। প্রায় প্রত্যেকটা জেলার মানুষই ইতিমধ্যে বাড়ি বানানোর জন্য টাকা পাচ্ছেন।

জুন মাসেই 3 লক্ষ উপভোক্তাকে আবাস যোজনার দ্বিতীয় কিস্তির টাকা…

এদিকে নবান্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে বাংলা আবাস যোজনার টাকা পেতে মানতে হবে বেশ কিছু শর্ত। যেমন আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির 60 হাজার টাকা যারা পেয়েছিলেন তারা যদি লিনটেন পর্যন্ত বাড়ি তৈরি করেন সে ক্ষেত্রে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দ্বিতীয় কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।

হিন্দুস্তান টাইমস এর প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যাচ্ছে নবান্ন সূত্রের খবরে এখনো পর্যন্ত প্রায় নয় লক্ষ উপভোক্তার ব্যাংক একাউন্টে বাংলা আবাস যোজনার দ্বিতীয় কিস্তির 60 হাজার টাকা ঢুকে গেছে। ১২ লক্ষ উপভোক্তার ব্যাংক একাউন্টে টাকা ছাড়ার কাজ শুরু হলেও মূলত 9 লক্ষ উপভোগ তারা প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে লিটন পর্যন্ত কাজ করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।

জুন মাসেই 3 লক্ষ উপভোক্তাকে আবাস
জুন মাসেই 3 লক্ষ উপভোক্তাকে আবাস যোজনার

আর এই 9 লক্ষ উপভোক্তার ব্যাংক একাউন্টে টাকা পৌঁছে গেছে। বাকি 3 লক্ষ উপভোক্তা যারা বাংলা আবাস যোজনার বাড়ি লিলটন পর্যন্ত তৈরি করছেন পরবর্তীতে তাদেরও ব্যাংকে ধাপে ধাপে এই টাকা দেওয়া শুরু হবে।নবান্নের তরফ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বর্ষার আগেই যাতে সাধারণ মানুষদের মাথার উপর ছাদ নিশ্চিত করা যায় সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

যদি কোন উপভোক্তার কাজ করতে কোন সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে তাকে সহযোগিতা করতে হবে নিম্নস্তরে যে সমস্ত সদস্য বা আধিকারিকরা রয়েছেন তাদেরকে। যারা বাংলা আবাস যোজনা আর দ্বিতীয় কিস্তির ৬০ হাজার টাকা এখনো পর্যন্ত পাননি, তারা চিন্তা করবেন না জানা যাচ্ছে এই জুন মাসে ও ধাপে ধাপে টাকা দেওয়া হচ্ছে। ফলে আপনাদের প্রত্যেকের ব্যাংক একাউন্টে এই টাকা ঢুকে যাবে।

তবে মনে রাখতে হবে যে সমস্ত মানুষরা প্রথম কিস্তির টাকা নিয়ে বাড়ির কাজ করেছিলেন। যারা লিলটন পর্যন্ত কাজ করেছিলেন এবং যাদের বাড়ির ছবি তোলা হয়েছে সার্ভের সময়। তাদের সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রথম কিস্তির টাকা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে।

ইতিমধ্যে যারা প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দ্বিতীয় পেতে ৬০ হাজার টাকা ঢোকা শুরু হয়েছে। বাড়ি বানানোর জন্য মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পাবেন উপভোক্তারা।

এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখতে ভুলবেন না। সঙ্গে আমাদের অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া পেজ গুলি ফলো করে রাখবেন।

WhatsApp ChannelClick Here
Facebook PageClick Here

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *