জায়গা জমির নতুন নিয়ম চালু ! আর পোহাতে হবে না কোন ঝামেলা!

জায়গা জমি নিয়ে সমস্যা লেগেই থাকে সাধারণ মানুষদের জীবনে। তবে এবার এই জায়গা জমির নতুন নিয়ম চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। আর এই নিয়মের ফলেই বিশেষ সুবিধা হবে প্রচুর মানুষের।
জায়গা জমির নতুন নিয়ম কি হতে চলেছে?
গ্রাম থেকে শহর পশ্চিমবঙ্গের প্রায় প্রত্যেকটা পরিবার বা মানুষের কাছে কম বেশি জায়গা জমি রয়েছে। আর এই জায়গা জমি নিয়ে নানান সমস্যা প্রতিনিয়ত লেগেই থাকে। তবে এবার জায়গা জমির নতুন নিয়ম নতুন পরিষেবা চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
এতদিন পর্যন্ত জমি বাড়ির দলিল সংগ্রহ করতে হতো রেজিস্ট্রি অফিস থেকে। তাছাড়া কিছু মানুষ দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে খোয়াতেন হাজার হাজার টাকা। এবার সেই সমস্ত কিছুর অবসান ঘটতে চলেছে রাজ্য সরকারের এই নতুন উদ্যোগের ফলে। জমি বাড়ি ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে যে দালাল চক্র চলে এবার সেগুলো একেবারে নির্মূল করার লক্ষ্যে নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য প্রশাসন।
নতুন কি পদক্ষেপ রাজ্যের?
বর্তমানে প্রচুর মানুষ কেমন রয়েছেন যারা জমিদারি ক্রয় অথবা বিক্রয় করেন। যারা বিশ্বাস করে জমি বাড়ি কেনেন তাদের ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ যে ডকুমেন্ট সেটি হল জমির দলিল। তাছাড়া যারা পুরানো বাসিন্দা রয়েছেন তাদের কাছে আবার জমির পর্চাও থাকে। আবার বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় একটা জমির একাধিক মালিক রয়েছে। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে দলিল দেওয়া হয় তারা হার্ড কপি বা আসল কপিটি থাকে একজনের কাছে।
প্রায় ১০০ বছর পর জায়গা জমির নতুন মৌজা ম্যাপ চালু হচ্ছে!
এবং বাকি যে সমস্ত অংশীদার বা মালিকরা থাকেন তাদের কাছে থাকে সার্টিফাইড দলিলের কপি। আসল দলিলের হার্ড কপি তোলার জন্য সরাসরি রেজিস্ট্রি অফিসে যোগাযোগ করতে হয় এবং আইজিয়ার রশিদ দেখিয়ে সংগ্রহ করতে হয় আসল দলিল। তবে আসল দলিল একটা হলেও অন্যান্য ভাগীদাররা তাদের কাছে সার্টিফাইয়ের দলিল রাখতে পারেন।
সেক্ষেত্রে এই দলিলও একই রকমের কাজ করবে। কিন্তু সমস্যা হল এই সার্টিফাইড দলিলের কপি সংগ্রহ করতে আগের রেজিস্ট্রি অফিসে ছুটতে হতো এবং বেশ কিছু মানুষ দালাল চক্করে পড়ে ১০০০-২০০০, ৫ হাজার টাকা টাকা পর্যন্ত হারাতেন। কারণ এই দলিল বা সার্টিফাইড দলিল সাধারণ মানুষের প্রচুর কাজে আসে। বিশেষ করে পৌরসভা এলাকায় যারা বসবাস করেন তাদের ক্ষেত্রে ইলেকট্রিক এর কানেকশন জলের কানেকশন বা অন্যান্য কোন পরিষেবার জন্য আবেদন করতে হলে জমি বাড়ির দলিলের প্রয়োজন হয়ে থাকে।

আর সেই জন্যই টাকার মায়া না করে এই সমস্ত কাগজপত্র দালালদের হাত থেকেই সংগ্রহ করতে হয়। সেখানে বহু টাকা লস হয় ওই সমস্ত গ্রাহকদের। তবে এবার রাজ্য সরকারের নতুন উদ্যোগে নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে। এবার থেকে অফলাইনে এই সমস্ত দলিল দেওয়া বন্ধ হতে চলেছে। দলিলের সার্টিফাইড কপি সরাসরি অনলাইন থেকেই ডাউনলোড করতে পারবেন। রাজ্যের ভূমি দপ্তরের ওয়েবসাইট অথবা ই ডিসটিক ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন জমি বাড়ির দলিলের সার্টিফাইড কপি।
একদম ঠিকই শুনেছেন এবার অনলাইনের মাধ্যমেই আপনারা এই সার্টিফাইড কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। তবে আপনি যদি অরিজিনাল দলিলের হার্ডকপি নিতে চান সেক্ষেত্রে রেজিস্ট্রি অফিসে আইজিআর রশিদ দেখিয়ে সেটা সংগ্রহ করতে হবে।
জমির বাড়ির দলিল ডাউনলোড করতে কত টাকা লাগবে?
আপনি যদি জমি বাড়ির মালিক হন সেক্ষেত্রে জমির সার্টিফাইড দলিল অনলাইন থেকে যদি ডাউনলোড করতে চান, সে ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সূত্র অনুযায়ী জানা যাচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্যে অনলাইনে পেমেন্ট করে আপনারা এই সার্টিফাইয়ের দলিলের কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এর ফলে দালাল চক্রের বারবার অন্ত অনেকটাই কমবে। উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ। তাছাড়া যারা অনলাইন সম্বন্ধে তেমন কিছু জানেন না। সেক্ষেত্রে আপনারা আপনাদের এলাকার বাংলা সহায়তা কেন্দ্রতে গিয়ে সহায়তা নিতে পারেন।
এখান থেকেও আপনারা দলিলের সার্টিফাইড কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। তাছাড়া জমির জায়গার যেকোনো ধরনের কাজ রাজ্য সরকারের যে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট রয়েছে ভূমি দপ্তরের। বাংলার ভূমি ওয়েবসাইট। তাছাড়া রাজ্য সরকারের যে অফিশয়াল ইডিস্ট্রিক্ট ওয়েবসাইট রয়েছে। এখান থেকেও আপনারা জায়গা জমির সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য পাবেন। এবং এই ওয়েবসাইট থেকে আপনারা জায়গা জমির নানান কাজও করতে পারবেন। কার নামে কত পরিমাণ জমি রয়েছে সেই সমস্ত বিবরণও রাজ্য সরকারের ভূমি দপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারবেন।
এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করবেন। সঙ্গে আমাদের ফেসবুক পেজ টিকে ফলো করবেন।
Facebook page:- click here
WhatsApp channel:- click here