চালু হচ্ছে নতুন সিটিজেন কার্ড! ভোটার কার্ড আধার কার্ড ছাড়াও করতে হবে এই কার্ড!

দেশজুড়ে শীঘ্রই চালু হয়ে যেতে পারে নতুন জন গণনা পরিষেবা! তবে তারই মাঝে আরো একটা নতুন কার্ড চালু করতে পারে মোদি সরকার, যে কার্ডের নাম হলো সিটিজেন কার্ড! তাহলে কি এই কার্ড প্রত্যেককেই বানাতে হবে?
দেশ জুড়ে চালু হবে সিটিজেন কার্ড! কবে চালু হবে?
বর্তমানে ভারতবর্ষে দিন দিন জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে তবে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে এই জনগণনা করা হয়নি সরকারের তরফ থেকে। জনগণনা হলে তবেই জানা যায় বর্তমানে দেশের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার পরিমাণ কত? অথবা কোন রাজ্যে কত মানুষ বসবাস করেন!সেই অনুযায়ী বাজেটে প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ থেকে শুরু করে,
সাধারণ মানুষদের জন্য বিভিন্ন অর্থ সাহায্যের জন্য বাজেটের অর্থ বরাদ্দ করা যেতে পারে সঠিকভাবে। তাছাড়া জনগণনা হলে সরকারের কাছেও সংস্থা নাগরিকদের সঠিক তথ্য নথিভুক্ত থাকবে। তবে এবার জানা যাচ্ছে নতুন বাজেটের পর শীঘ্রই চালু হয়ে যাবে দেশ জুড়ে সেন্সাস এর কাজ। ২০১০ সালে গত শেষবারের মতো এই কাজ হয়েছিল, পরবর্তীতে ২০২০ সালে আবারো এই সেন্সাস এর কাজ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে তা থমকে গিয়েছিল।
চালু হবে নাগরিকত্ব বা সিটিজেন কার্ড!
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ১০ বছর অন্তর এই কাজ করে থাকে সরকার। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যে এই সেন্সাস এর রিপোর্ট আসবে 2026 সালের মার্চ মাসে। এরপরেই ডিলিমিটেশন কমিশন শুরু হবে এমনটাই জানা যাচ্ছে। বর্তমানে সারা ভারতবর্ষে প্রচুর অনুপ্রবেশকারী প্রবেশ করছে। যারা বিদেশি হওয়ার পরেও অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছেন।

এবার তাদেরকে চিহ্নিতকরণ করার জন্য সরকারের তরফ থেকে সেন্সাসের পাশাপাশি একটি নতুন কার্ড তৈরির কথাও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।ভোটার কার্ড আধার কার্ড বা প্যান কার্ডের পাশাপাশি এবার নতুন করে নাগরিকত্ব কার্ড ও চালু হতে পারে! আর এই কার্ডটা যদি চালু হয়ে যায় তাহলে ভারতবর্ষের প্রত্যেকটা বৈধ নাগরিক যারা রয়েছেন, অর্থাৎ যারা ভারতবর্ষে বসবাস করেন যারা ভারতীয় নাগরিক তাদের প্রত্যেককেই সরকারের তরফ থেকে এই কার্ড দেওয়া হবে। যেটাকেই সিটিজেন কার্ড বলা হতে পারে! তবে সবটাই এখন আলোচনা সাপেক্ষ।
কবে চালু হবে সিটিজেন কার্ড!
এখনো পর্যন্ত নাগরিকত্ব কার্ড চালু হওয়া নিয়ে কোন সরকারি বিজ্ঞপ্তি বা অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়নি। তবে পরবর্তী যে বাজেট পেশ হবে সেখানে এই সিটিজেন কার্ড নিয়ে প্রসঙ্গ উঠতে পারে এমনটাই অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তবে এই নাগরিকত্ব কার্ড নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো অফিসিয়াল ঘোষণা না হলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও সেন্সাস কমিশনার দপ্তর এর আধিকারিকদের মধ্যে এই নিয়ে আলোচনা শুরু হতে পারে শীঘ্রই।
কি এই সিটিজেন কার্ড! বা নাগরিকত্ব কার্ড!
গত কয়েক মাস আগে থেকেই এনআরসি নিয়ে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে দেশজুড়ে। বিশেষ করে যারা ভারতের নাগরিক নয়, চোরা কারবারীদের হাত ধরে যারা ভারতে এসে বসবাস করছেন, তাদেরকে চিহ্নিতকরণ করতেই এই কার্ড তৈরি করা হতে পারে। এই কার্ড তৈরি হলে মূলত যারা ভারতের প্রকৃত নার্গরিক তারাই এই কার্ডের সুবিধা পাবেন, জানা যাচ্ছে এই কার্ড বানাতে গেলে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু ডকুমেন্ট চাওয়া হতে পারে।
তবে এই বিষয়ে অফিসিয়াল কোন বিজ্ঞপ্তি বা কোন বিবৃতি এখনো পর্যন্ত জানানো হয়নি। সবটাই আলোচনা সাপেক্ষ।এই সিটিজেন কার্ড এমন একটি কার্ড যার নিজস্ব একটি ইউনিক নাম্বার থাকবে। আর এই ইউনিক নাম্বারটাই সিটিজেন নাম্বার বা নাগরিকত্ব নাম্বার হিসেবে ধরা হবে। এর আগে অসমে এনআরসি নিয়ে একাধিক ঘোষণা হয়েছিল সেখানেই এই নাগরিকত্ব কার্ডের বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে।

জানানো হয়েছিল যারা বৈধ নাগরিক এবং যারা অবৈধ তাদের বিভেদ করার জন্য একটি নাগরিকত্ব কার্ডই যথেষ্ট। আর তাই এবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এই নাগরিকত্ব কার্ড তৈরিতে জোর দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।আগেই সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে প্যান কার্ড ভোটার কার্ড বা আধার কার্ড কিন্তু নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, বা নাগরিকত্বের ডকুমেন্ট নয়।
তাই এবার নাগরিকত্বের জন্য নতুন কার্ড তৈরি করতে পারে মোদি সরকার, আর এই কার্ডের নাম হতে পারে সিটিজেন কার্ড!সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে সামনে এই কেন্দ্রীয় সরকারের যে বাজেট পেশ হবে এখানেই এই কার্ডের কথা উল্লেখ করা হতে পারে, কারণ যদি কোন কার্ড বা কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হয় সেক্ষেত্রে তার জন্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দ ঘোষণা করতে হয়। তাই যদি এই সিটিজেন কার্ড তৈরি হয় সে ক্ষেত্রে বাজেটে এই ঘোষণা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।