এবার পশ্চিমবঙ্গে চালু হচ্ছে ভোটার ভেরিফিকেশন! বাতিল হবে প্রচুর ভোটার কার্ড…

২০২৬ সালে নির্বাচনের আগেই,এবার পশ্চিমবঙ্গে চালু হচ্ছে ভোটার ভেরিফিকেশন! আর এই ভোটার ভেরিফিকেশনে বাতিল হতে পারে হাজার হাজার উপভোক্তার নাম।
পশ্চিমবঙ্গে চালু হচ্ছে ভোটার ভেরিফিকেশন:-
পশ্চিমবঙ্গে শেষবারের মতো ভোটার ভেরিফিকেশন করা হয়েছিল 2002 সালে জানুয়ারি মাসে। ওই সময় যখন ভোটার ভেরিফিকেশন হয় তখন ভোটার তালিকা থেকে প্রায় 28 লক্ষ উপভোক্তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। তবে এবার নতুন করে আবারও ভোটার ভেরিফিকেশন হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। প্রায় ২৩ বছর পরে শুরু হচ্ছে এই নতুন ভোটার ভেরিফিকেশন। ২০০২ সালের এই ভোটার তালিকার সংশোধনের ফলে যে সমস্ত উপভোক্তার নাম লিস্ট থেকে বাদ গিয়েছিল তাদের মধ্যে অনেকেই ছিল মৃত ব্যক্তি, কেউ আবার এক ঠিকানা থেকে অন্য ঠিকানায় স্থানান্তরিত হয়েছেন, আবার কেউ কেউ ভারতের নাগরিক নয়, এই সমস্ত ভোটার কার্ডগুলিকে সমীক্ষা করে বাতিল করা হয়েছিল। দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে ভোটার ভেরিফিকেশন বন্ধ ছিল, তবে আবার পশ্চিমবঙ্গে চালু হতে চলেছে নতুন করে ভোটার ভেরিফিকেশন।
ইতিমধ্যেই ইলেকশন কমিশন সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে এই ভোটার ভেরিফিকেশনের জন্য ইলেকশন কমিশন আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।
এই পাঁচটি ভুলের জন্য লক্ষী ভান্ডার টাকা ঢুকবে না, নতুনদের লক্ষ্মী ভান্ডার
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার দেশের নাগরিকদের আরো সচেতন হতে নির্দেশ দিচ্ছেন। জানা যাচ্ছে বর্তমানে প্রচুর বাংলাদেশী নাগরিক অবৈধভাবে ভারতবর্ষে এসে বসবাস করছেন। কিছু চোরাকারবারিদের হাত ধরে কেউ কেউ আবার ভারতের ভোটার কার্ড আধার কার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র বানিয়ে নিয়েছেন। কিছুদিন আগেই একজন বাংলাদেশিকে সনাক্ত করা হয়েছে যিনি বাংলাদেশের ছাত্র বিপ্লবের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং পশ্চিমবঙ্গেও নাকি ভোটার কার্ড তৈরি করে রেখেছেন। এই বিষয়ের সত্যতা “খবর 7 দিন” যাচাই করেনি।

বিহারে বিধানসভা ভোটের আগেই ভোটার কার্ড সংশোধন:
ইতিমধ্যেই পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহারে ভোটের আগেই নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ভোটার ভেরিফিকেশন শুরু হয়। ইলেকশন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে অফলাইন এবং অনলাইন ফরম পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে ১৯৮৭ সালের আগে বা পরে যাদের জন্ম সেই অনুযায়ী যাদের ভোটার কার্ড রয়েছে তাদের জন্য আলাদা ডকুমেন্ট এবং ২০০৩ সালের পরে যাদের ভোটার কার্ড তাদের ক্ষেত্রেও একাধিক নিয়মের কথা বলা হয়েছিল।
আর সেই অনুযায়ী ভোটার কার্ড সংশোধন করা হচ্ছিল বিহারে। যারা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সাবমিট করতে পারবেন না তাদের ভোটার তালিকা থেকে নাম ডিলিট বা বাতিল করে দেওয়া হতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গে ভোটার ভেরিফিকেশন:
একইভাবে এবার বিহারে ধাঁচেই পশ্চিমবঙ্গে ও ভোটার ভেরিফিকেশন শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে যে ভোটার কার্ড ভেরিফিকেশন হবে সেখানে বেশ কিছু নতুন কাগজপত্র বা ডকুমেন্টের সংযোজন করা হতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক মনোজ আগারওয়াল জানান ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে তাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন চিঠি আসেনি, তবে আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি যখনই কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন আসবে বা বিজ্ঞপ্তি আসবে সাথে সাথে আমরা এই ভোটার ভেরিফিকেশন এর কাজ শুরু করব।
পশ্চিমবঙ্গে কিভাবে ভোটার ভেরিফিকেশন হবে? জানা যাচ্ছে বিহার মডেলের ধাঁচেই পশ্চিমবঙ্গেও চালু হবে ভোটার কার্ড ভেরিফিকেশন বা ভোটার ভেরিফিকেশন। এই ভোটার ভেরিফিকেশন অনলাইনের মাধ্যমে করা যাবে। সঙ্গে অফলাইনেও ফরম পাওয়া যাবে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও এই ভোটার ভেরিফিকেশনের জন্য আধিকারিকরা বাড়ি বাড়ি আসবেন তথ্য সংগ্রহ করার জন্য।। যারা অনলাইনে ভোটার ভেরিফিকেশন করবেন তাদের ক্ষেত্রে ভোটার ভেরিফিকেশন এর যে অনলাইন তথ্য বা রিসিভ কপি সেগুলো বাড়িতে আসা ভোটার আধিকারিকরা যাচাই করে দেখতে পারেন।

পশ্চিমবঙ্গে কবে থেকে ভোটার ভেরিফিকেশন চালু হবে?
সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী এবং পিটিআই সূত্রের খবর অনুযায়ী আগামী আগস্ট মাসের ১ তারিখ থেকেই পশ্চিমবঙ্গের ভোটার ভেরিফিকেশন চালু হয়ে যেতে পারে। এবং পরবর্তীতে এই সময়ের মধ্যে যদি ভোটাধিকারেশন সম্পূর্ণ না হয় সেক্ষেত্রে সময় বাড়ানো হতে পারে এবং নভেম্বর ডিসেম্বরে পর্যন্ত ভোটার ভেরিফিকেশন এর কাজ বা ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন এর কাজ করা হতে পারে।
ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ গেলে ভোট দেওয়া যাবে?
জানিয়ে রাখা ভালো ভোটার ভেরিফিকেশনের সময় যদি কারো নাম ভোটার লিস্ট থেকে বাতিল হয়ে যায় সেক্ষেত্রে তার হাতে ভোটার আইডি কার্ড থাকলেও তিনি কিন্তু ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে পারবেন না। ফলে ওই ব্যক্তিকে পুনরায় ভোটার লিস্টে নাম তুলতে হবে তবেই তিনি ভোটদানের অধিকার অর্জন করতে পারবেন।
কাদের নাম ভোটার লিস্ট থেকে বাতিল হতে পারে?জানা যাচ্ছে যে সমস্ত মৃত ব্যক্তি রয়েছে যাদের নামে এখনো পর্যন্ত ভোটার কার্ড চালু রয়েছে বা ভোরের তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের নাম এই ভোটার লিস্ট থেকে বাতিল করা হতে পারে। সঙ্গে প্রচুর অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রয়েছে যারা বিনা অনুমোদিতে অন্যায় ভাবে ভারতবর্ষে বসবাস করছেন, চোরা কারবারীদের হাত ধরে ভোটার কার্ড তৈরি করেছেন সেই সমস্ত ব্যক্তিদেরকে যাতে খুঁজে বের করা যায় সেটাও এই ভোটার ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে করার চেষ্টা চলছে। যদি কারো জাল সার্টিফিকেট পাওয়া জাল ডকুমেন্ট হয় সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির ভোটার কার্ড ভোটার লিস্ট থেকে বাতিল হওয়ার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন সঙ্গে আমাদের অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া পেজ গুলি ফলো করতে ভুলবেন না।
WhatsApp Channel | Click Here |
Facebook page | Click Here |