এই 5টি ভুলেই লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা দেওয়া বন্ধ! Lakshmi Bhandar

লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা, lokkhi bhandar
July 13, 2025 | 8:13 am | By Khobor7din

মাসের শুরুতে লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা দিলেও অনেকেই সেই টাকা পাননি! এই 5টি ভুলেই লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা দেওয়া বন্ধ! কোন কোন ভুলের কারণে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা ঢুকছে না? লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পেতে কি কি করতে হবে? কোন কোন কাজ করলে তবেই টাকা পাওয়া যাবে? সমস্ত কিছুই এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হলো…

লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য

গরিব এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের মহিলাদের কাছে এখন লক্ষী ভান্ডার প্রকল্প চাঁদের আলোর মত উজ্জ্বল, দুই কোটিরও বেশি মহিলারা এই প্রকল্পের আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন। প্রকল্পের টাকার অপেক্ষায় থাকেন লক্ষ লক্ষ মহিলা। এই প্রকল্পে মহিলাদের হাত খরচ বাবদ 1000 ও 1200 টাকা করে দেওয়া হয়। প্রতিমাসে শুরুতেই টাকা দেওয়া হলেও এখনো পর্যন্ত লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পাননি প্রচুর মহিলারা। মূলত 5টি ভুলেই লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা দেওয়া বন্ধ! সেগুলি এই প্রতিবেদন এই জানানো হয়েছে।

লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে কারা আবেদন করবেন?

আপনি যদি লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী একজন মহিলা হতে হবে। কারণ শুধুমাত্র মহিলাদের জন্যই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই প্রকল্পটি তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে অবশ্যই আবেদনকারী মহিলার কাছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড সহ অন্যান্য ডকুমেন্ট থাকতে হবে। এই প্রকল্পে আবেদন করতে হলে আপনাকে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকেই আবেদন করতে হবে। এখান থেকেই লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের ফরম পাবেন। যে ফর্মটা ফিলাপ করে প্রয়োজনীয় কাগজ নিয়ে আপনাকে জমা করতে হবে।

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা দেবে, এমনই খুশির খবর উঠে এল

কোন 5টি ভুলেই লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা দেওয়া বন্ধ!

লক্ষী ভান্ডারের টাকা,
লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা,lokkhi Bhandar

সামান্য ভুলের কারণে প্রচুর মহিলারা লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পাচ্ছেন না। এমনও প্রচুর পুরনো মহিলা রয়েছেন যারা মাঝপথে টাকা পেতে পেতে টাকা বন্ধ হয়ে গেছে । বাংলার সব থেকে জনপ্রিয় প্রকল্প লক্ষীর ভান্ডার, যেখানে প্রত্যেক মা-বোনেদের ১০০০ টাকা এবং ১২০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আপনি যদি এই প্রকল্পে আবেদন করে টাকা না পেয়ে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য রইল লক্ষী ভান্ডার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি খবর।

লক্ষ্মী ভান্ডার স্ট্যাটাসে পরিবর্তন:

১) যে সমস্ত নতুন মহিলারা লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করেছেন, কিন্তু এখনো পর্যন্ত টাকা পাচ্ছেন না! তাদেরকে প্রথমেই দেখতে হবে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের স্ট্যাটাসে কি দেখাচ্ছে? যদি স্ট্যাটাসে কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পেতে আপনার সমস্যা হতে পারে।বিশেষ করে দিন লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের স্ট্যাটাসে টেম্পোরারি এপ্লিকেশন সেভ এবং তারপর ফাইনাল সাবমিট পর্যন্ত গিয়ে থেমে যায়, তাহলে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পেতে আপনাকে আবারো অপেক্ষা করতে হবে।কারণ এরপরেও লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের স্ট্যাটাসে আরও দুটো পরিবর্তন হয়।

এর পরবর্তীতে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের স্ট্যাটাসে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন আপডেট দেখায়। এবং ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন হয়ে যাওয়ার পরে সর্বশেষ স্ট্যাটাসে অ্যাপ্রুভ অপশনটি আসে, যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার স্ট্যাটাসে এপ্রুভ অপশনটি শো করে, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পাবেন না। এর জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। তাছাড়া বহুদিন হয়ে যাওয়ার পরেও যদি আপনার স্ট্যাটাসে কোন পরিবর্তন না হয় সে ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার বিডিও অফিসে যোগাযোগ করতে।

ব্যাংক একাউন্ট ভ্যালিডেশন ইরোর:

  • ২) মুখ্যমন্ত্রীর পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী যে সমস্ত মহিলারা লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করেননি তারা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করুন, আপনাদের বাড়িতে যদি কোন মহিলা থেকে থাকে তাহলে তিনিও এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন, আবেদন করলে আপনাদেরকে ১০০০ টাকা এবং বারোশো টাকা করে ব্যাংক একাউন্টে দেয়া হবে রাজ্যের তরফ থেকে । আপনিও পাবেন লক্ষী ভান্ডারের টাকা, কিন্তু যে সমস্ত মহিলারা আবেদন করার পরেও যারা টাকা পাচ্ছেন না স্ট্যাটাস চেক করলে অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে ব্যাংক একাউন্ট ভ্যালিডেশন ইরোর এরর দেখাচ্ছে।অনেকে এই ব্যাংক একাউন্ট ভ্যালিডেশন এর অপশনটি দেখে ভয় পাচ্ছেন। তবে তাদের জন্য বলে রাখা ভালো লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে আপনার যদি এইরকম এরর অপশন আসে তাদের ক্ষেত্রে এগুলো ঠিক করতে হবে। আপনি চাইলে আপনার ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন যদি ব্যাংক এ কোন সমস্যা থাকে তাহলে ব্যাংকের তরফ থেকে ঠিক করা হবে আর যদি ব্যাংকে কোন সমস্যা না থাকে তাহলে বিডিও অফিস থেকে এগুলো ঠিক করে দেওয়া হতে পারে।

লক্ষী ভান্ডার ব্যাংক একাউন্টের ধরন:

  • ৩) লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে আবেদনকারী মহিলাদের নিজেদের নামে ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হয়। এবং এই ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি আপনাকে আবেদনের সময় জমা করতে হবে। প্রকল্পের নোটিশ অনুযায়ী প্রত্যেক মহিলাদের সিঙ্গল ব্যাংক একাউন্টের প্রয়োজন যাতে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। যারা লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করেছেন তারা যদি ভুলবশত জয়েন্ট ব্যাংক একাউন্ট দিয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের গুলো পেন্ডিং এ পড়ে থাকবে। কারণ ঘোষণা অনুযায়ী জয়েন্ট ব্যাংক একাউন্টে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা দেওয়া হয় না। এর জন্য সিঙ্গেল ব্যাংক একাউন্টে প্রয়োজন হয়।
লক্ষী ভান্ডারের টাকা,
লক্ষী ভান্ডারের টাকা

লক্ষী ভান্ডার একাউন্ট কেওয়াইসি:

  • ৪) যে সমস্ত মহিলারা লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করেছেন কিন্তু ব্যাংক একাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ডের লিঙ্ক করেননি, তাদেরকে বলে রাখা ভালো লক্ষী ভান্ডার এর নোটিশ অনুযায়ী মহিলাদের ব্যাংক একাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ডের লিংক থাকা বাধ্যতামূলক, তবেই লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা মহিলাদের ব্যাংক একাউন্টে ঢুকবে। আর এই ব্যাংকের সঙ্গে আধার কার্ডের লিংক আপনি আপনার ব্যাংকের ব্রাঞ্চ অফিস থেকে করতে পারবেন। যেটা সময়ে সময়ে মাঝেমধ্যেই করতে হয়। এর কারণবশত অনেকেই টাকা পেতে পেতে মাঝপথে টাকা পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। আপনারও টাকা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই একবার চেক করে দেখবেন আপনার কি কেওয়াইসি আপডেট আছে কিনা।

লক্ষী ভান্ডারে আবেদনের বয়সসীমা:

  • ৫) অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আবেদনকারী মহিলার বয়স ২৫ বছরের নিচে কিন্তু তারপরেও তিনি আবেদন করেছেন। এক্ষেত্রে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা ওই সমস্ত মহিলাদের ব্যাংক একাউন্টে ঢুকবে না, আপনার আবেদনটি রিজেক্ট হয়ে যেতে পারে। কারণ লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করার জন্য সর্বনিম্ন বয়স ২৫ বছর হতে হয়। ২৫ বছরের নিচে কোন মহিলারা লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করতে পারেন না। তাই আপনি যদি ১৮ বছর কিংবা কুড়ি বছর বয়সে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন করেন সে আপনার আবেদন টি রিজেক্ট হয়ে যেতে পারে।

লক্ষী ভান্ডার বৃদ্ধ ভাতা টাকা:

সঙ্গে অতিরিক্ত একটি সুবিধার কথা জানিয়ে রাখা ভালো লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের যে সমস্ত মহিলাদের বয়স ৬০ বছরের উর্ধ্বে হয়ে গেছে, তাদেরকে বার্ধক্য ভাতা টাকা দেওয়া হবে। তবে আপনি যদি এই বৃদ্ধ বা বার্ধক্য বা তার টাকা না পেয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের জেরক্স আধার কার্ডের জেরক্স বা অন্যান্য ডকুমেন্টগুলো নিয়ে আপনার এলাকার পঞ্চায়েত অফিস বা ব্লক অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়া আপনি যদি শহরাঞ্চলের হয়ে থাকেন তাহলে আপনার এলাকার মিউনিসিপালিটিতে যোগাযোগ করতে পারেন এই তথ্য সংগ্রহের জন্য।

এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকবেন। আমাদের অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া পেজ গুলি ফলো করতে ভুলবেন না।

WhatsApp channelClick Here
Facebook page Click Here

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *