ইলেকট্রিক স্মার্ট মিটার বন্ধ হচ্ছে বাড়িতে লাগানো 2025। অতিরিক্ত বিদ্যুতের বিলে নাজেহাল?

এমনিতেই রাজ্যজুড়ে ইলেকট্রিক্যাল স্মার্ট মিটার নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড় আলোচনা। তবে এবার ইলেকট্রিক স্মার্ট মিটার বন্ধ হচ্ছে বাড়িতে লাগানো। ফলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে আমজনতা।
ইলেকট্রিক স্মার্ট মিটার:
রাজ্য জুড়ে বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই শুরু হয়েছিল ইলেকট্রিকের স্মার্ট মিটার লাগানো। তবে এই স্মার্ট মিটার লাগানো নিয়ে একটা ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছিল আমজনতার মনে।
জানা যাচ্ছিল এই স্মার্ট মিটার লাগালে একাধিক সমস্যা হতে পারে সাধারণ মানুষের। ইলেকট্রিক ব্যবহার করার আগেই মোবাইলে যেমন রিচার্জ করতে হয় ঠিক একইভাবে এই স্মার্ট মিটার থেকে ইলেকট্রিক ব্যবহার করার জন্য আগে থেকেই রিচার্জ করতে হবে গ্রাহক কে।
রিচার্জ শেষ হয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যাবে ইলেকট্রিক পরিষেবা। ফলে রাত বিরাতে ইলেকট্রিক চলে গেলে সমস্যায় পড়তে পারেন সাধারণ মানুষ। যদিও বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা জানান রিচার্জ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ৩০০ টাকা পর্যন্ত বকেয়া বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবে উপভোক্ততারা।
আধার কার্ডের ডকুমেন্ট আপডেটের লাস্ট ডেট, পরে করলেই দিতে হবে টাকা।
তাছাড়া যাদের যতটুকু ইলেকট্রিক প্রয়োজন তারা হিসাব অনুযায়ী ততটুকু খরচ করতে পারবেন। যদি কেউ কোনদিন ঘুরতে যায় সে ক্ষেত্রে তাদের বাড়িতে ইলেকট্রিক ব্যবহার না হলে তার দাম দিতে হবে না।
এই ধরনের একাধিক সুবিধার কথা জানিয়েছে বিদ্যুৎ অধিকারীরা। তবে সেই সমস্ত কথায় ভরসা করেননি সাধারণ মানুষ। বিরোধী দলনেতা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক একাধিক দল এই স্মার্ট মিটার নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।

আবার প্রচুর উপভোক্তারা অভিযোগ করেছেন এই স্মার্ট মিটার লাগানোর পর তাদের বাড়িতে অতিরিক্ত পরিমাণে ইলেকট্রিক বিল আসছে। আগে যেখানে ৩০০ টাকা কিংবা ৬০০ টাকা ইলেকট্রিকের বিল আসতো এখন সেখানে ১২ হাজার পর্যন্ত ইলেকট্রিকের বিল চলে আসছে। ফলে কপালে চিন্তার ভাঁজ করেছে সাধারণ মানুষের আর সেই জন্যই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে দফায় দফায়।
ইলেকট্রিক স্মার্ট মিটার বন্ধ হচ্ছে বাড়িতে লাগানো:
তবে ইতিমধ্যেই এই সমস্ত সমস্যার কারণে রাজ্যবিদ্যুৎ দপ্তরের তরফ থেকে এটি নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাড়িতে বা সাধারণ গৃহস্থালির বাড়িতে স্মার্ট মিটার লাগানো বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তার ফেসবুক পেজে সেই নোটিশটি পোস্ট করেছেন। জানা যাচ্ছে রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরের যে নোটিশটি দেওয়া হয়েছে সেখানে বিদ্যুৎ দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
জুন মাসে তিন লক্ষ উপভোক্তা পাবে আবাস যোজনার দ্বিতীয় কিস্তির 60000 টাকা।
বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরকারি অফিস ও টেলিকমিউনিকেশন টাওয়ার ইত্যাদির মতো জায়গায় সফলভাবে স্মার্ট মিটার লাগানোর পর তিন থেকে চারটি জেলায় কিছু সংখ্যক গার্হস্থ্য উপভোক্তার বাড়িতে পরীক্ষামূলকভাবে স্মার্ট মিটার লাগানো হয়।
এমতাবস্থায় কিছু অভিযোগ আশায় প্রয়োজন মোতাবেক পদক্ষেপ করার জন্য গার্হস্থ্য উপভোক্তাদের বাড়িতে স্মার্ট মিটার লাগানো বন্ধ রাখা হলো। অর্থাৎ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান যেমন বিভিন্ন কোম্পানি কলকারখানা এবং সরকারি যে সমস্ত অফিসগুলো রয়েছে কিংবা টেলিকমিউনিকেশন যে সমস্ত টাওয়ার রয়েছে সেখানে স্মার্ট মিটার লাগানো হয়েছে,
তারপরে কিছু কিছু বাড়িতেও এই স্মার্ট মিটার লাগানো হয়।কিন্তু বাড়িতে এই স্মার্ট মিটার লাগানোর পর দেখা যায় স্মার্ট মিটার লাগানোর পর অতিরিক্ত ইলেকট্রিকের বিল আছে উপভোক্তাদের বাড়িতে। জানিয়ে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।
সেই জন্যই এই সমস্ত বিদ্যুৎ উপভোক্ত তারা স্মার্ট মিটার বাতিলের দাবিতে আন্দোলন পর্যন্ত শুরু করেন এবং ইলেকট্রিক অফিসে গিয়ে আবেদন করেন এই স্মার্ট মিটার বাতিলের জন্য। এখন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের তরফ থেকে নোটিশ বা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে গার্হস্থ্য বাড়িতে এই স্মার্ট মিটার লাগানো আপাতত বন্ধ থাকলো।
এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এছাড়া আমাদের অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া পেজগুলি ফলো করতে ভুলবেন না।
WhatsApp Channel | Click Here |
Facebook Page | Click Here |