আবাস যোজনায় কড়া নির্দেশ 2025! বাড়ি বাড়ি সার্ভে হচ্ছে

আবাস যোজনায়

গত ডিসেম্বর মাস থেকেই আবাস যোজনায় প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাংক একাউন্টে।

আবাস যোজনায় বাড়ি বাড়ি পরিদর্শকেরা:-

যে সমস্ত গরিব মানুষ যাদের মাথার উপর ছাদের ব্যবস্থা নেই কাঁচা বাড়িতে বসবাস করেন তাদেরকে পাকা বাড়ির ব্যবস্থা করে দিতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আবাস যোজনায় লিস্ট গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

সেই অনুযায়ী রাজ্যে শুরু হয় আবাস যোজনা সার্ভের কাজ। সেখান থেকেই প্রায় ২৮ লক্ষ এমন উপভোক্তার নাম উঠে আসে যারা আবাস যোজনার প্রকৃত ঘর পাওয়ার যোগ্য। যাদের কাঁচা বাড়ি আর্থিক অবস্থা সত্যিই খারাপ।

পাইপলাইনে বাড়ি বাড়ি রান্নার গ্যাস দেওয়ার চলছে প্রস্তুতি

তাদেরকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আবাস যোজনার টাকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়। লক্ষ্য ছিল ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে টাকা দেওয়া তবে ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে টাকা দিলেও বাকি থেকে যাবে আরো প্রায় 16 লক্ষ উপভোক্তা। সেই জন্য এই ধাপে ধাপে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।

ঘরের কাজ শুরু হয়নি তাদের জন্য নির্দেশ!

প্রথম দফায় 12 লক্ষ্য উপভোক্তার ব্যাংক একাউন্টে প্রথম কিস্তির 60000 টাকা পাঠানো হয় আবাস যোজনায়। যে টাকা নিয়ে কিছু উপভোক্তা বাড়ি বানানো শুরু করলেও এখনো বহু মানুষ এমন রয়েছে যারা আবাস যোজনার বাড়ির কাজ শুরু করেননি।

পরিদর্শকেরা গ্রামে গ্রামে আবাসিক ও তাদের বাড়ি ঘুরে দেখছেন। এখানেই তাদের চক্ষু চরক গাছ। আবাস যোজনায় ৬০ হাজার টাকা পেলেও এখনো বহু মানুষই আবাস যোজনা আর বাড়ির কাজ শুরু করেননি। তাই তাদেরকে দ্রুত আবাস যোজনার বাড়ির কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে পরিদর্শকেরা।

রেশন কার্ড থাকলেই আর বিনামূল্যের রেশন নয়! কাদের?

এ ছাড়া আবাস যোজনায় সার্ভেতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে প্রচুর অনিয়ম হয়েছে। যার ফলে একাধিক নাম আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাতিল হতে পারে।

আবাস যোজনায়
আবাস যোজনায় , ছবি AI

আবাস যোজনায় কাদের নাম বাতিল হতে পারে!

ইতিমধ্যেই আবাস যোজনা যে ৬০ হাজার টাকা ঢুকেছে সেই টাকা নিয়ে নয় ছয় এর অভিযোগ উঠে এসছে একাধিক জায়গা থেকে। সেই তো খবর মারফত জানা যাচ্ছে পরিদর্শকেরা সার্ভে করতে গিয়ে দেখছেন কিছু উপভোক্তা আবাস যোজনার বাড়ি তৈরি নিয়ম মানছেন না।

১)কেউ আবার টাকা নিয়ে পুরনো বাড়ির চাল মেরামত করেছেন। আবার কেউবা আবাস যোজনার টাকা নিয়ে শুধুমাত্র মেঝে ঢালাই করেছে।

২) কিছু উপভোক্ত তারা আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির বনেদ বা ভিত করেননি, পুরনো বাড়ির দেয়ালের উপর থেকেই গাথুনি করে বাড়ি তৈরি করেছেন, পরিদর্শকেরা দেখছেন পুরনো বাড়ির যে ভীত বা ঘোড়ার দেয়াল সেগুলো জরাজীর্ণ যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে,

৩) কিছু উপভোগ তারা এমনও রয়েছেন যারা আবাস যোজনার ঘরের টাকা নিয়ে বাড়ির সামনে রান্না ঘর বানিয়েছেন।

এই বিষয়ে জানতে যাওয়া হলে অনেকেই জানিয়েছেন যে আবাস যোজনা আর বাড়ি তৈরির নিয়ম তারা জানেন না, তাই এমনভাবে কাজ করেছেন তারা। তবে এক্ষেত্রে আধিকারিকদের স্পষ্ট নির্দেশ আবাস যোজনার নিয়ম না মেনে কাজ করলে দ্বিতীয় কিস্তির ৬০ হাজার টাকা নাও আসতে পারে ব্যাংক একাউন্টে।

আবাস যোজনা আর দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেতে অবশ্যই করতে হবে বাড়ির কাজ।সংবাদপত্র মারফত জানা যাচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় আনন্দপুর মোহনপুর অঞ্চলের ধরমপুর রানীবাজার এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘরের জন্য পরিদর্শন করেন ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শ্যামলী সর্দার।

ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় মোট আবাস যোজনার ঘর পেয়েছেন ৫৩৬৪ জন। যাদের মধ্যে প্রায় ৬৪০ জন এখনো পর্যন্ত বাড়ির কাজ শুরু করতে পারেন নি বলে সূত্রের খবর। এবার তাদেরকে বাড়ি তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন দ্রুত বাড়ি তৈরীর কাজ শুরু করেন তারা। শুধু ঘাটালি নয় পশ্চিমবঙ্গের বহু জেলাতে খুঁজলে এইরকম একই দৃশ্য দেখা যাবে।

কবে ঢুকবে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা?

ইতিমধ্যেই মেয়ে মাসের মধ্যে রাজ্যের তরফ থেকে প্রথম দফার সমস্ত কাজ সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। মে মাসের মধ্যে কাজ শেষ হলে সার্ভের কাজও শেষ করে ফেলা হবে এই মে মাসেই, তারপর শুরু হবে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়ার কাজ।

মে মাসে সার্ভে এবং বাড়ির কাজ শেষ হলে জুন মাসে দ্বিতীয় কিস্তির 60,000 টাকা ব্যাংক একাউন্টে দেওয়া হবে নবান্নের তরফ থেকে। তবে যেহেতু এখনো পর্যন্ত হাতে বেশ কিছুটা সময় রয়েছে তাই সময় নিয়ে বাড়ি তৈরির কাজ করতে বলা হচ্ছে উপভোক্তাদের।

ওয়েটিং লিস্টে উপভোক্তাদের কবে টাকা দেবে?

আবাস যোজনার ওয়েটিং লিস্টে যে সমস্ত উপত্যাদের নাম রয়েছে। জানা যাচ্ছে ডিসেম্বর মাসে তাদের একটা কিস্তির টাকা অর্থাৎ প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ব্যাংক একাউন্টে দেওয়া শুরু হবে নবান্নে তরফ থেকে। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে কাজ এগোলে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়ার দিকে এগোবে প্রশাসন।

এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। সঙ্গে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল ফেসবুক পেজ ইনস্টাগ্রাম আইডি টুইটার হ্যান্ডেল ফলো করতে ভুলবেন না। Khobor7din খবর সবার আগে।

WhatsApp Channel:- Follow the Khobor 7 Din channel on WhatsApp:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *