আবাসের দ্বিতীয় কিস্তির 60000 টাকা দিতে ছবি তোলার কাজ শুরু, Bangla Bari Scheme

দ্বিতীয় কিস্তির 60000 টাকা, awas yojna

আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে, এবার দ্বিতীয় কিস্তির 60000 টাকা দিতে ছবি তোলার কাজ শুরু হয়েছে ব্লকে ব্লকে। দ্বিতীয় পৃষ্ঠের টাকা পেতে কতদূর পর্যন্ত ঘরের কাজ করতে হবে? কবে থেকে টাকা ব্যাংকে ঢুকতে পারে? কারা ছবি তুললে তবে টাকা পাওয়া যাবে? সমস্ত কিছু বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে….

বাংলা আবাস প্রথম কিস্তির 60000 টাকা দেওয়া:-

গত ডিসেম্বর মাসেই আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু হয়েছিল। সেই অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার গ্রামের লিস্টে যে সমস্ত উপভোগ তাদের নাম ছিল। সেই সমস্ত নামের লিস্ট থেকে মোট 12 লক্ষ উপভোক্তাকে বাংলা আবাস যোজনার মাধ্যমে, রাজ্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকেই অর্থ প্রদান করা শুরু হয়েছে। যেখানে প্রথম কিস্তির 60000 টাকা সরাসরি উপভোগ তাদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে পাঠানো হয়েছে। ধাপে ধাপে টাকা পাঠানোর ফলে কেউ আগে কিংবা কেউ কিছুটা পরে টাকা পেয়েছেন। এবার দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়ার পালা।

শুরু হলো আবাস যোজনায় নতুন সার্ভে ছবি তোলার কাজ।:-

IMG 20250308 WA0002
দ্বিতীয় কিস্তির 60000 টাকা Bangla awaas yojna

গত ডিসেম্বর মাসের ১৫ ও ১৭ তারিখ থেকেই আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা প্রথম দফায় ৬০০০০ উপভোক্তা দের ব্যাংক একাউন্টে পাঠানো হয়েছে। সেই টাকা নিয়ে উপভোক্তারা কতদূর পর্যন্ত বাড়ি তৈরি করল! বা আদেও ওই টাকা নিয়ে বাড়ির কাজে লাগিয়েছে কিনা সেটা দেখার জন্য নজরদারি চালাতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।

রেশন কার্ডের সঙ্গে ব্যাংক একাউন্ট লিংক! রেশনের বদলে টাকা দেবে!

সঙ্গে যারা আবাস যোজনা প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে বাড়ির কাজ শুরু করেছেন তাদের বাড়ির ছবি তোলা শুরু হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। মেদিনীপুর উত্তর চব্বিশ পরগনা দক্ষিণ 24 পরগনা নদিয়া সহ পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক জেলায় শুরু হচ্ছে এই সার্ভের কাজ। যেখানে আধিকারিকরা আবাস উপভোক্তাদের বাড়িতে বাড়িতে যাবেন এবং গিয়ে দেখবেন কতদূর পর্যন্ত বাড়ির কাজ হয়েছে।

তারপর সেই বাড়ির ছবি তুলে আপলোড করা হবে ওয়েবসাইটে। তারপর শুরু হবে দ্বিতীয় কিস্তির 60000 টাকা দেওয়ার কাজ। তবে অনেকেই জানতে চাইছেন কতদূর পর্যন্ত বাড়ির কাজ করলে তবে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাওয়া যাবে?

কতদূর পর্যন্ত ঘরের কাজ করতে হবে প্রথম দফায়?

সরকারি গাইডলাইন অনুযায়ী আগে তিন দফায় টাকা দেওয়া হতো। এবং সেই অনুযায়ী বাড়ির কাজ করতে হতো। তবে এই মুহূর্তে যেহেতু দুই দফায় টাকা দেওয়া হচ্ছে, তাই নিয়মে কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। প্রথম দফায় জানালা পর্যন্ত অথবা লিলটন পর্যন্ত গাঁথুনি করলে ভালো হয়। তারপর আধিকারিকরা সেই বাড়ির ছবি তুলে ওয়েব সাইটে আপলোড করেন পরবর্তী টাকা দেওয়ার জন্য। তবে এক্ষেত্রে ৬০ হাজার টাকায় প্রথম দফায় আপনি যতটুকু কাজ করতে পেরেছেন আধিকারিকরা সেই অনুযায়ী আপনার বাড়ির ছবি তুলে ওয়েবসাইটে আপলোড করবে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা যাতে আপনার ব্যাংক একাউন্টে ঢোকে।

কারা ছবি তুলবে? দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দিতে?

রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী প্রত্যেক এলাকার পঞ্চায়েত অথবা ব্লক লেবেলের যে সমস্ত আধিকারিকরা রয়েছেন, তারা পরিদর্শক হিসেবে এই কাজ বা ছবি তোলার কাজ করবেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্লক থেকে আধিকারিকরা ঘরের ছবি তুলতে আসেন।

কবে দ্বিতীয় কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ঢুকবে?

বাড়ি বানানোর প্রথম কিস্তির 60000 টাকা ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়ে গেছে রাজ্য তহবিল থেকে। তবে রাজ্য সরকারের দেওয়া এই টাকায় আদেও বাড়ি তৈরি হয়েছে কিনা! কিংবা বাড়ি তৈরির কাজ কতদূর এগোলো? সেটা দেখতে পরিদর্শকরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন, যারা বাড়ির কাজ শুরু করেছেন তাদের বাড়ির ছবি সহ তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই আবাস যোজনা আর দ্বিতীয় দফার সার্ভের কাজ শুরু হয়েছে। ফলে ছবি তোলা হয়ে গেলেই ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে এই সমস্ত বাড়ির ছবিগুলি। এক্ষেত্রে গোপন সূত্র জানা যাচ্ছে ছবি আপলোডের কিছুদিনের মধ্যেই আবাস যোজনা দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আপনার ব্যাংক একাউন্টে চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের খবর অনুযায়ী বা মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দ্বিতীয় কিস্তির ঘরের টাকা জুন মাসে উপভোক্তাদের ব্যাংক একাউন্টে দেওয়া হবে।

PWL এরা কবে পাবে?

পার্মানেন্ট ওয়েটিং লিস্টে যে সমস্ত উপভোগ তাদের নাম রয়েছে তাদেরকে আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির ৬০০০০ ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই ব্যাংক একাউন্টে দেওয়া শুরু করা হবে। প্রথম দফার কাজ শেষ হলে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়ার কাজ শুরু করা হবে।

এমনই গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে আমাদের খবর ৭ দিন ওয়েবসাইট থেকে সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকবেন। এছাড়া আমাদের খবর ৭ দিন ফেসবুক পেজ এবং হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে যুক্ত হতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *