আধার কার্ড নিয়ে কড়াকড়ি নিয়ম 2025! বাতিল হচ্ছে প্রচুর আধার!

সারাদেশ এখন ছেয়ে গেছে জালিয়াতিতে। দিল্লি থেকে মুম্বাই বিহার থেকে ঝাড়খন্ড এমনকি কলকাতা পশ্চিমবঙ্গেও আধার নিয়ে জালিয়াতের চক্র কম নেই।আধার কার্ড নিয়ে কড়াকড়ি নিয়ম 2025! তার উপরে প্রতিবেশী দেশে চলছে চরম উত্তেজনা। ফলে প্রচুর বাংলাদেশী প্রতিনিয়ত ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছেন। এবং যারা সফল হয়েছেন তারা জালি সার্টিফিকেট দিয়ে, ভারতের আধার কার্ড তৈরি করার চেষ্টা করছেন। তবে এবার এই জালিয়াতি চক্রকে রক্ষার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার।
Table of Contents
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে বেশ কিছু দালাল চক্র কাজ করছে জালি সার্টিফিকেট পাইয়ে দেওয়ার পিছনে। সেই জন্য এই দালাল চক্রকে রুখতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চালু করা হচ্ছে আধার কার্ডের উপর সম্পূর্ণ নতুন নিয়ম।
এবার আধার কার্ডের কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তৃপক্ষদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক করা হচ্ছে। কারণ এবার নতুন নিয়ম অনুযায়ী, নতুন আধার কার্ড তৈরি করতে প্রত্যেক আবেদনকারীকে দিতে হবে জন্মের সার্টিফিকেট। তবে যে সে জন্ম সার্টিফিকেট দিলে আর আধার কার্ড তৈরি করা যাবে না।
কোথায় থেকে পাওয়া যাবে জন্ম সার্টিফিকেট?
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ হোক বা মহারাষ্ট্র যেখানেই বসবাস করেন না কেন নতুন আধার কার্ড করতে একাধিক শর্ত মানতে হয় বিভিন্ন রাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী। তবে এবার পশ্চিমবঙ্গে নতুন ভাবে আধার কার্ড তৈরি করতে হলে রাজ্য সরকারের তৈরি করা জন্ম মৃত্যু পোর্টাল থেকে নিতে হবে জন্ম সার্টিফিকেট। এবং সেই সার্টিফিকেট অনলাইনে ভেরিফাই করাতে হবে। যদি ভেরিফাই সাকসেসফুল হয় তবেই আধার কার্ড তৈরিতে এগোতে পারবেন। না হলে খালি হাতেই ফিরতে হবে।

জানা যাচ্ছে অনলাইনে সেই জন্ম সার্টিফিকেট ডাউনলোড করলে তাতে থাকবে একটি কিউআর কোড এই কিউআর কোড স্ক্যান করেই জানা যাবে সার্টিফিকেটটি আসল নাকি নকল! যদি সার্টিফিকেট আসল হয় সেক্ষেত্রে আধার কর্তৃপক্ষরা আপনার আধার কার্ড তৈরির দিকে আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। না হলে আপনার আবেদন পত্রটি বাতিল হয়ে যাবে।
কাদের জন্য আধার কার্ডের এই নতুন নিয়ম চালু!
জানা যাচ্ছে আধার কার্ডের এই জালিয়াতি থেকে বাঁচার জন্য নতুন নিয়ম চালু করছে রাজ্য এবং কেন্দ্র উভয় মিলেই। এবার থেকে ১৮ বছরের নিচে যে সমস্ত ব্যক্তির আধার কার্ডের জন্য আবেদন হবে বা আপনি আপনার পরিবারের কোন সদস্য যার বয়স ১৮ বছরের নিচে তার জন্য যদি আবেদন করতে চান সেক্ষেত্রে আধার কার্ডের আবেদন করতে অনলাইনে জন্ম সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এই জন্ম সার্টিফিকেটটি রাজ্য সরকারের জন্ম-মৃত্যু পোর্টাল থেকে পাওয়া যাবে। তাছাড়া পরিবারের বাবা অথবা মায়ের আধার কার্ডের প্রমাণপত্র লাগবে নতুন আধার কার্ড বানানোর জন্য। যেটা অনলাইনে ভেরিফাই করা হবে। সারা রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের পোর্টাল থেকে বার্থ সার্টিফিকেট ইস্যু হলেই তবেই আধার কর্তৃপক্ষ আধার কার্ড তৈরি করার দিকে এগোবে।
বাতিল হচ্ছে প্রচুর আবাস যোজনার ঘর! কারা পাবে না দ্বিতীয় কিস্তির টাকা?
তবে যে সমস্ত ব্যক্তির বয়স 18 বছরের ঊর্ধ্বে তাদের ক্ষেত্রে সচিত্র পরিচয় পত্র অথবা ভোটার কার্ডের মতো পরিচয় পত্র দিয়ে আবেদন করতে হবে। সঙ্গে আবেদনের সময় ওই ব্যক্তির পরিবারের যে কোন একজন সদস্যের আধার কার্ডের প্রয়োজন পড়বে অনলাইন ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন করার জন্য।
কেন আধার কার্ড নিয়ে এই পদক্ষেপ?
বর্তমানে যেভাবে জালিয়াতি বাড়ছে তাতে ব্যাংক একাউন্ট থেকে শুরু করে নানান ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর এই সমস্যার বেশিরভাগ ভুক্তভোগী হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তাছাড়া জালি সার্টিফিকেট ব্যবহার করে অনেকেই আধার কার্ড তৈরি করে ভারতের নাগরিক হওয়ার চেষ্টা করছেন। এর ফলে এই দেশের যারা নাগরিক তাদের কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে অন্যান্য ক্ষেত্রেও অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। জাল আধার কার্ড বা ভুয়ো নাগরিকদের বাছাই করার জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই তৎপর।
কি কি কাজে লাগে আধার কার্ড?
বর্তমানে প্রত্যেকটা ভারতীয় নাগরিকদের কাছে আধার কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। ব্যাংক একাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে সরকারি প্রকল্পের টাকা পাওয়া। যেকোনো প্রকল্পে বা ব্যাংকে ইকেওয়াইসি আপডেট করা থেকে শুরু করে সমস্ত কাজেই আধার কার্ডের প্রয়োজন হয়। এমনকি পাসপোর্ট বানাতে গেলেও দরকার পড়ে এই আধার কার্ডের। আধার কার্ড ছাড়া এখন বেশিরভাগ পরিষেবায় পাওয়া অসম্ভব।
এছাড়া মোবাইলের নতুন সিম কার্ডের কানেকশন নেওয়ার জন্য আধার কার্ডের প্রয়োজন হয়। তাই আধার কার্ড প্রত্যেকটা ভারতীয় নাগরিকের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট হিসেবে পরিচিত। যদিও আধার কার্ড ভারতের নাগরিকত্বের পরিচয় নয়, কিন্তু তার পরেও এই আধার কার্ড ছাড়া ভারতবর্ষের প্রত্যেকটা মানুষ নানা সমস্যায় করতে পারেন। তাই যাদের কাছে আধার কার্ড নেই তাদের অবিলম্বে আধার কার্ড তৈরি করে নেওয়া উচিত।
কাদের আধার কার্ড বাতিল হতে পারে?
জানা যাচ্ছে যে সমস্ত মানুষরা ভুয়ো সার্টিফিকেট বা জাল সার্টিফিকেট দিয়ে আধার কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন এবং আধার কার্ড বানিয়েছেন । ইতিমধ্যে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ঝাড়াই বাচায় চলছে। একাধিকবার পুলিশি অভিযান হয়েছে, ভবিষ্যতে আবারো চলবে এই ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন এর কাজ আর সেখানেই যদি কারো জালি আধার কার্ড ধরা পড়ে সে ক্ষেত্রে সেই সমস্ত কার্ডগুলিকে বাতিল করা হতে পারে।
এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ফলো করে রাখুন। সঙ্গে আমাদের ফেসবুক পেজ এবং হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলটিকেও ফলো করতে ভুলবেন না।