আধার, প্যান, রেশন কার্ড নাগরিকত্বের নথি? ভোটার কার্ড ভেরিফিকেশনে বড় আপডেট

নাগরিকত্বের নথি
July 18, 2025 | 11:55 pm | By Khobor7din

আগস্ট মাসের ১ তারিখ থেকেই শুরু হবে ভোটার ভেরিফিকেশন, যেখানে নাগরিকত্বের নথি কি কি লাগবে? কোন কোন ডকুমেন্ট দিয়ে ফরম ফিলাপ করা হবে? এই সমস্ত নিয়ে চিন্তায় রয়েছে আমজনতা, আজকের এই ভিডিওতে সমস্ত তথ্যই আমরা বিস্তারিত জেনে নেব।

ভোটার কার্ড ভেরিফিকেশন কি?

কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী ভারতবর্ষে বসবাসকারী প্রচুর এমন অবৈধ নাগরিক রয়েছেন যারা আদেও ভারতবর্ষের নাগরিক নন। এই সমস্ত মানুষরা কেউ কেউ বাংলাদেশ থেকে কেউ আবার মায়ানমার কেউবা নেপাল আবার কেউবা পাকিস্তান আফগানিস্তান থেকে চোরা কারবারিদের হাত ধরে ভারতবর্ষে এসে বসবাস করছেন। এদের মধ্যে আবার কেউ কেউ ভারতবর্ষের কিছু চোরাকারবারীদের হাত ধরে অর্থের বিনিময়ে জাল সার্টিফিকেট জমা করে ভারতীয় আধার কার্ড ভোটার কার্ড প্যান কার্ডের মত ডকুমেন্ট বানিয়ে ফেলেছেন।

কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা দেবে জানালো মুখ্যমন্ত্রী। ফসলের ক্ষতিপূরণ ঢুকবে

এবং অনেকেই রয়েছেন যারা ভোটার কার্ডের মত গুরুত্বপূর্ণ নথি তৈরি করে ভারতবর্ষে ভোট দান পর্যন্ত করছেন। এবার সেই সমস্ত অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিতকরণের জন্যই ভোটার কার্ড ভেরিফিকেশন শুরু হচ্ছে। ভোটার কার্ড ভেরিফিকেশনের মাধ্যমেই জানা যাবে যে কোন ব্যক্তি প্রকৃত ভারতীয় এবং কারা বহিরাগত। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বিহারে শুরু হয়েছে ভোটার ভেরিফিকেশন, ইলেকশন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই ভোটার ভেরিফিকেশন এর ফরম পর্যন্ত প্রকাশিত করা হয়েছে। যেখানে ১১ টি ডকুমেন্টের কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিশেষ করে ২০০৩ সালের পরে যাদের ভোটার কার্ড কিংবা ১৯৮৭ সালের আগে কিংবা পরে যাদের জন্ম তাদের জন্য ভোটার কার্ডের নিয়ম জারি করা হয়েছে।

WhatsApp ChannelClick Here
Facebook pageClick Here

বিহারের ভোটার ভেরিফিকেশনে যে ফর্ম ফিলাপ করতে হচ্ছে সেখানে ১১ টি ডকুমেন্টের উল্লেখ রয়েছে। তাছাড়া প্রতিক্ষেত্রে এই জন্ম সার্টিফিকেট এবং স্থায়ী বসবাসের সার্টিফিকেট পেয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।। তবে যাদের কাছে আধার কার্ড প্যান কার্ড কিংবা রেশন কার্ডের মত নথি রয়েছে, তারা অনেকেই চিন্তা করছেন এই সমস্ত ডকুমেন্টগুলো দিয়ে কি নাগরিকত্বের প্রমাণ করা যাবে? সেই প্রশ্নের উত্তরও এই প্রতিবেদনেই আপনারা পেয়ে যাবেন।

আধার কার্ড প্যান কার্ড রেশন কার্ড নাগরিকত্বের নথি?

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে দিল্লি পুলিশকে এই বিষয়ে কিছু তথ্য দেয়া হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। এবিপি আনন্দের দেওয়া সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী দিল্লিতে বসবাসকারী যে সমস্ত নাগরিকদের কাছে আধার কার্ড প্যান কার্ড কিংবা রেশন কার্ড রয়েছে এগুলো দেখিয়ে নাগরিকত্বের প্রমাণ দেওয়া যাবে না।

নাগরিকত্বের নথি,
নাগরিকত্বের নথি

অর্থাৎ দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে পরিষ্কারভাবে জানানো হয়েছে, আধার কার্ড কিংবা ভোটার কার্ড অথবা প্যান কার্ড নাগরিকত্বের নথি নয়। এমনিতেই অবশ্য ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া অর্থাৎ uidai পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে আধার কার্ড নাগরিকত্বের পরিচয় পত্র নয়।

আধার কার্ড কে আপনি পরিচিতি হিসাবে অথবা কোন স্কিমে আবেদনের জন্য অথবা অন্যান্য একাধিক কাজে লাগাতে পারবেন। তবে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন না। এছাড়াও প্যান কার্ড যাদের কাছে আছে তারা প্যান কার্ড দিয়ে ইনকাম ট্যাক্স জমা করেন। তবে এই সমস্ত ডকুমেন্টগুলো নাগরিকত্বের প্রমাণ নয় বলে এই দিল্লি বলে জানিয়েছে, এক্ষেত্রে আগে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টের কথা জানানো হয়েছিল, এক হল 1)জন্মসংসাপত্র অর্থাৎ বার্থ সার্টিফিকেট এবং অপরটি হল 2) পাসপোর্ট

যদিও সুপ্রিম কোর্টের একটা মামলায় কোটের বিচারপতিরা এই সমস্ত ডকুমেন্টকে গ্রহণযোগ্য নতি হিসাবে গ্রহণ করার জন্য আজই জানিয়েছিলেন কিন্তু এখনো পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে তেমন কোনো সাড়া দেয়নি বলেই খবর।

ভোটার ভেরিফিকেশনে কোন কোন চারটি নথি কাজে আসবে?

এদিকে সংবাদ-সুত্রের খবর অনুযায়ী যদি পশ্চিমবঙ্গে ভোটার ভেরিফিকেশন হয়, সেক্ষেত্রে ইলেকশন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে নতুন ডকুমেন্ট এর লিস্ট প্রকাশিত হতে পারে। তবে এই মুহূর্তে যদি আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ এই চারটি নথি থাকে তাহলে আপনিও বিশেষ সুবিধা পরবর্তী সময় পেতে পারেন।

  • 1) পাসপোর্ট: ভারতীয় পাসপোর্ট নিজেই প্রমাণ করে যে আপনি একজন ভারতীয় নাগরিক, যেটা পাসপোর্টে লেখা থাকে তাই আপনার কাছে যদি কোন পাসপোর্ট থেকে থাকে তাহলে নাগরিকত্ব প্রমাণের ক্ষেত্রে আপনার অনেকটাই সুবিধা হবে।
  • 2) জাতীয়তা সার্টিফিকেট: এই সার্টিফিকেটটি সাধারণত রাজ্য সরকার কিংবা কেন্দ্রীয় সরকার অথবা রাজ্যের কোন জেলার উচ্চপদস্থ দপ্তর থেকে দেওয়া হয়ে থাকে, বিশেষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সময় তেই এই সার্টিফিকেট দেয়া হয়ে থাকে।
  • 3) সিটিজেনশিপ শংসাপত্র বা রেজিস্ট্রেশন সংশোধন:এই কার্ডটিও ভারতবর্ষের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তরফ থেকে প্রদান করা হয়, মূলত যে সমস্ত বিদেশী নাগরিকরা বৈধ ভিসা পাসপোর্ট নিয়ে ভারতে আসেন এবং ভারত সরকারের থেকে যারা নাগরিকত্ব পেয়ে থাকেন তাদেরকেই এই শংসাপত্র দেয়া হয়। তাই এই কাগজটি আপনার কাছে থাকলে আপনার অনেক কাজে আসবে।
  • 4) জন্ম শংসাপত্র বা বার্থ সার্টিফিকেট: আপনার কাছে যদি জন্মসংসাপত্র থাকে সেক্ষেত্রে নাগরিকত্ব প্রমাণের ক্ষেত্রে এই সার্টিফিকেটটিও অনেক কাজে দেবে।
  • 5) এছাড়াও যাদের কাছে সরকারি স্কুল সার্টিফিকেট কিংবা যাদের কাছে সরকারি পেনশন কার্ড রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও এই সমস্ত কাগজ জমা করলে অনেকটাই সুবিধা পাওয়া যাবে।

এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *